সীমান্তের উত্তপ্ত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ‘চরম প্রস্তুতি’ নিচ্ছে দিল্লি

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ২৯ মে ২০২০, ১৬:৫৪| আপডেট : ২৯ মে ২০২০, ১৭:০০
অ- অ+

লাদাখ ও উত্তরাখণ্ডের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে চীন অতিরিক্ত সেনা না সরালে ভারতও তাদের অতিরিক্ত ফৌজ সরাবে না। এছাড়া থমথমে সীমান্ত পরিস্থিতির মধ্যে আরও কড়া বার্তা দিতে শুধু চীন সীমান্তেই নয়, নেপাল ও পাকিস্তান সীমান্তেও ভারত অতিরিক্ত সেনা পাঠাচ্ছে। যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবেলায় কার্যত এভাবেই চরম প্রস্তুতি নিচ্ছে দিল্লি। পিটিআই।

সীমান্তে এই তীব্র সংঘাতের আবহের মধ্যে বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও ভারতীয় সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে তাবৎ কমান্ডারদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন। তাদের আলোচনার ভরকেন্দ্র ছিল চীন।

ভারত স্থির করেছে, কোনও সীমান্তবর্তী কর্মসূচিই বন্ধ থাকবে না এবং কোনও প্রকল্প বাতিলও করা হবে না। একইসঙ্গে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন ঘোষণা করেছে, ১ জুন থেকে লিপুলেখ পাস হয়ে যে সীমান্তবাণিজ্য চীনের সঙ্গে প্রতি বছর শুরু হয়, এবার তা বাতিল করা হচ্ছে। সরকারিভাবে কারণ দর্শানো হয়েছে, করোনা সংক্রমণের সমস্যার জন্যই এই বাণিজ্য বাতিল করা হচ্ছে।

এদিকে ভারত বনাম চীন- দু‌ই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে ঘনিয়ে ওঠা এই ঠান্ডা লড়াই ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলও নড়েচড়ে বসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীন ও ভারত রাজি থাকলে সীমান্ত বিতর্কের টেনশন কমাতে আমেরিকা মধ্যস্থতা করতে তৈরি আছে।

হঠাৎ তৎপর হয়েছে চীনের বন্ধু পাকিস্তানও। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ভারত প্রতিবেশিদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে। তাই চীনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার জন্য ভারতই দায়ী।

চীনের সরকারি মুখপাত্র বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, সীমান্তে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। মুখোমুখি সংঘাতের জায়গায় যায়নি। বরং পরিস্থিতি শান্তই বলা যায়। ভারত ও চীনের মধ্যে যে কোনও মতান্তর অথবা বিতর্কিত ইস্যু আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা হবে।

চীনের এই বিবৃতি সত্ত্বেও ভারত অবশ্য নিশ্চিন্ত হচ্ছে না। কারণ চীন বিবৃতি দিলেও, লাদাখ ও উত্তরাখণ্ড থেকে এখনও সেনা সরায়নি। বরং লাদাখ সীমান্তে চীন সম্পূর্ণ যুদ্ধকালীন তৎপরতা দেখাচ্ছে।

বাহিনীকে চারটি ভাগে বিভক্ত করে সেনা মোতায়েন করেছে চীন। তিনটি বাহিনী রয়েছে পূর্ব লাদাখের হট স্প্রিং এলাকায়। আর একটি বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার এলাকায়। গলওয়ান নদী উপত্যকায় ভারতের পোস্ট কে এম ১২০ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে চীনের বাহিনী।

উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহ ধরে যখন প্রথমে লাদাখ এবং তারপর উত্তরাখণ্ড সীমান্ত ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এর মধ্যেই নেপাল ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ভারতকে নিয়ে বিবৃতি এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। চীন, পাকিস্তান ও নেপাল, তিন সীমান্তেই ভারত এখন কড়া সেনা নজরদারির ব্যবস্থা করেছে।

(ঢাকাটাইমস/২৯মে/ডিএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
নির্বাচনের আগেই ফ্যাসিস্টদের বিচার হবে : আইন উপদেষ্টা
ফিরে দেখা ৮ জুলাই: ‘বাংলা ব্লকেড’ শেষে সরকারকে আল্টিমেটাম, সমন্বয়ক কমিটি গঠন
নির্বাচিত হলে স্থানীয় সব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস আমিনুল হকের
মিলন-জাদুর ঝলক কি দেখা যাবে আবার?
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা