সাদা জার্সিতে স্মিথের দশ বছর

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২০, ১০:০১ | প্রকাশিত : ১৪ জুলাই ২০২০, ১০:০১

ঠিক দশ বছর আগে পাঁচদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথ চলা শুরু হয়েছিল বিশ্বের পয়লা নম্বর টেস্ট ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ১৩ জুলাই অভিজাত লর্ডসে তার হাতে গর্বের ব্যাগি গ্রিন তুলে দিয়েছিলেন দু’বারের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিং। বিভিন্ন চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে কেটেছে দশটা বছর। ক্যারিয়ারে নেমে এসেছে স্যান্ডপেপার গেট কান্ডের মতো কলঙ্কজনক ঘটনা। তবু লক্ষ্যে অবিচল সেদিনের ২১ বছরের ছেলেটা।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কামব্যাক করেই বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রতিভা তার সহজাত। গত অ্যাশেজেও সর্বাধিক রান সংগ্রহ করে র‍্যাংকিং’য়ে পিছনে ফেলেছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে। টেস্ট ক্যারিয়ারের দশ বছর পূর্তিতে স্বভাবতই নস্ট্যালজিক প্রাক্তন অজি টেস্ট অধিনায়ক। ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন অল-রাউন্ডার হিসেবে। প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচে যথাক্রমে ব্যাটিং অর্ডারে আট এবং নয়’য়ে নেমে সর্বসাকুল্যে ১৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। এরপর কেরিয়ারে এসেছে বিবর্তন। স্মিথ এখন আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান।

ক্যারিয়ারের দশম বর্ষপূর্তিতে দাঁড়িয়ে নস্ট্যালজিক স্মিথ ফিরে গেলেন দশ বছর আগে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন টেস্ট অভিষেকের মুহূর্ত। যেখানে কিংবদন্তি পন্টিং’য়ের থেকে ব্যাগি গ্রিন সংগ্রহ করতে দেখা যাচ্ছে তাকে। ছবি পোস্ট করে স্মিথ লিখলেন, ‘বিশ্বাসই হচ্ছে না যে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের দশ বছর হয়ে গেল আজ। উত্থানটা চমকপ্রদ ছিল। হয়তো আমার মধ্যে এখনও দশ বছর রয়েছে?’

স্মিথের বর্ণময় টেস্ট ক্যারিয়ারের দিকে তাকালে চোখে পড়বে অনেককিছুই। আবার সবকিছুর মাঝেও ২০১৮ দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্যান্ডপেপার গেট কান্ড হয়তো কাঁটার মত খচ-খচ করে তাকে বিঁধবে আজীবন। তবু স্মিথ জিনিয়াস। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে তার ঠান্ডা লড়াই ইদানিং টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম আকর্ষণ অনুরাগীদের জন্য। দশ বছরের ঈর্ষণীয় টেস্ট ক্যারিয়ারে ব্যাগি গ্রিন মাথায় পরে খেলেছেন ৭৩টি টেস্ট। ২৬টি শতরান এবং ২৯টি অর্ধশতরান সহযোগে তার সংগৃহীত রানসংখ্যা ৭,২২৭।

স্যান্ডপেপার গেট কান্ডের কলঙ্কজনক অধ্যায়ের পর ক্রিকেটে ফিরে গত অ্যাশেজে ৭ ইনিংসে সংগ্রহ করেছেন রেকর্ড ৭৭৪ রান। জোড়া শতরান, জোড়া দ্বিশতরান সহযোগে তার ব্যাটিং গড় ১১০.৫৭। আবার ওই অ্যাসেজেই টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম কনকাশন রিপ্লেসমেন্টও হয়েছিলেন তিনি। লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে জোফ্রা আর্চারের লাফিয়ে ওঠা বলে আহত হয়েছিলেন তিনি। তার কনকাশন বদলি হিসেবে মাঠে নেমে ইতিহাস গড়েছিলেন মার্নাস ল্যাবুশেন।

(ঢাকাটাইমস/১৪ জুলাই/এআইএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :