চট্টগ্রাম কাস্টমসে ৮৭ লট পণ্যের নিলামে ১৫৪ দরপত্র

চট্টগ্রাম বন্দরে নিলামযোগ্য ১০৬ টন কমলাসহ মোট ৮৭ লট পণ্যের বৃহস্পতিবারের নিলামে মোট দরপত্র জমা পড়েছে ১৫৪টি। এরমধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে জমা পড়ে ১২৪টি, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ১৮টি এবং ঢাকায় ১২টি। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় একযোগে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
নিলামে দুই লটে ১০৬ টন কমলা ছাড়াও ২৭ লটে ফেব্রিক্স পণ্য। আরো ছিল মেশিনারি পণ্য, লেদার ফুটওয়্যার, ড্রাগন ফল, সালফিউরিক এসিড, প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার, থান কাপড়, টেক্সটাইল কেমিক্যাল, ইলেকট্রিক এয়ার পাম্প, রঙের গুঁড়া, পুস্তক, টাইলস, গার্মেন্টসের কাঁচামাল, ইথিলিন, জিংক অক্সাইড, পাইপ, সুইচ সকেট, জ্যাকেট, নির্মাণ সামগ্রী, লং, আন্ডারওয়্যার তৈরির কাঁচামাল, এলইডি লাইট, বেবি ডায়াপার, ফিলামেন্ট কোড, ব্লেড, প্লাস্টিক বাকেল, কালার রিফ্লেক্টিভ গ্লাস, কম্পিউটার পার্টস, বাইসাইকেল টায়ার, মোটরসাইকেল টায়ার, ইট্রাকোনাজোল এবং টারবিনাফিন ক্রিম, রেডিমেড গার্মেন্টস পণ্য, জুতা তৈরির কাঁচামাল, রাইস মিলের যন্ত্রাংশ, এমডিএফ বোর্ডসহ বিভিন্ন পণ্য।
নিলাম প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার (নিলাম) আল আমিন জানান, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলামে গতি আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবারের ৮৭ লটের নিলামে নতুন লট ছিল ৩৫টি। আগামী নিলামেও ৭০/৮০টি নতুন লট যুক্ত করার পরিকল্পনা আছে। এছাড়া খুব অল্পসংখ্যক পণ্যগুলো নিয়ে একটি লট করার চিন্তা আছে।
তবে নিলামে অংশগ্রহণকারী বাড়ানোর ব্যাপারে জোর দেন এই ডেপুটি কমিশনার। তিনি বলেন, অধিক সংখ্যক দরদাতা নিলামে অংশ নিলে প্রতিযোগিতামূলক নিলাম হয়। এতে দামও বেশি পাওয়া যায়। ফলে সরকারি কোষাগারে রাজস্ব বাড়ে। সেজন্য চট্টগ্রাম ও ঢাকা ছাড়াও অন্যান্য জেলাকে কাস্টমসের নিলামে যুক্ত করার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।
নিলাম পরিচালনায় সহায়তাকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম কর্পোরেশনের ম্যানেজার (নিলাম) মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম একটি নিয়মিত চলমান কাজ। প্রতিমাসেই দুই/তিনটি নিলাম আহবান করা হয়। এবারের নিলামে দ্রুত পচনশীল পণ্য বেশি রাখা হয়েছে। এসব পণ্য বন্দরে পড়ে থাকলে পচে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াবে। আর বন্দরের জায়গাও দখল করে রাখে। তাই সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি ও বন্দরের কন্টইনারের জট নিরসনকল্পে নিলাম প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৭আগস্ট/এলএ)

মন্তব্য করুন