প্রোটিয়াদের কাছেও হারল বাংলাদেশের যুবারা

শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নেমে কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের হেরে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। পঞ্চমস্থান নির্ধারণী ম্যাচেও জেতা হয়নি। এরপর সপ্তমস্থান নির্ধারণী ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষেও পেরে উঠেননি রাকিবুল হাসানরা। বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ২ উইকেটে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার যুবারা। ফলে অষ্টমস্থানেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো জুনিয়র টাইগারদের।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করে বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে খেলতে নেমে মাহফিজুল রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ৫৭ রানের জুটি গড়েন নাবিল। ২৯ রানে মাহফিজুল এবং ৩৮ রান করে নাবিল আউট হয়। পরের উইকেট খেলতে নেমে আইচ মোল্লা ১ রান করে আউট হন।
চতুর্থ উইকেটে খেলতে নেমে ফাহিমকে সঙ্গে নিয়ে আরিফুল ইসলাম ম্যাচটাকে বড় করতে থাকেন। ফাহিম ৩৬ রান করে আউট হওয়ার পর এসএম মেহরাবকে সঙ্গে নিয়ে আপন তালে খেলতে থাকেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটার। মেহরাব ৩৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
এরপর আরিফুল ইসলাম ছাড়া আর কেউ ভালো খেলতে পারেনি। আরিফুল ১০৩ বলে ১০২ রান করে আউট হন। তার এ ম্যাচটি ৯টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো। অন্যদিকে তাহজিবুল ইসলম ৪ রানে, রিপন মণ্ডল ১৪ রানে, রাকিবুল ইসলাম শূন্য রানে, নাইমুর রহমান ৩ রান করে আউট হন। বাংলাদেশের ইনিংস থঅমে ২৯৩ রানে।
২৯৪ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা তেমন ভালো করতে না পারলেও দ্বিতীয় উইকেটে খেলেতে নেমে ব্রেভিস খুঁটি গেড়ে খেলতে থাকেন। তার ১৩৮ রানের এই বড় ইংনিসে আফ্রিকা দলের জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি। ব্রেভিস ১৩৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তার এ ইনিংসিটি ১১টি চার ও ৭টি ছয় সাজানো।
অন্যদিকে বড় ইনিংস খেলেন রোনান হারমান। তিনি ৪৬ রান করে আউট হন। আর ম্যাথু বোস্ট ৪১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন রিপন মণ্ডল, মুশফিক হাসান এবং এসএম মেহরব। এছাড়া একটি উইকেট নেন আইচ মোল্লা।
(ঢাকাটাইমস/০৪জানুয়ারি/বিজেড/এমএম)

মন্তব্য করুন