চাঁদপুরে কারেন্ট জাল ও জাটকাসহ ৬ জেলে আটক

চাঁদপুরের মেঘনা-পদ্মা নদী উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল, ৭ হাজার কেজি জাটকা ও ৬ জেলেকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। একই সময় একটি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন চাঁদপুর নৌ-অঞ্চলের নৌ পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পংকজ চন্দ্র রায় ও নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) কামরুজ্জামান।

অভিযানে নৌ পুলিশ হেড কোয়াটার্স এর ৬০জন অফিসার, সঙ্গীয়ফোর্স এবং ৪টি নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সঙ্গীয়ফোর্স অংশগ্রহণ করেন।

অভিযানের সময় চাঁদপুর মেঘনা নদীর মোহনা থেকে ৪ জেলেকে জাটকাসহ এবং দুজনকে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার সুরেশ্বর এলাকা থেকে আটক করা হয়।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, চাঁদপুরের মেঘনা মোহনায় আটক ৪ জেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করে চাঁদপুর নৌ থানার পুলিশ।

নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) কামরুজ্জামান জানান, মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী কারেন্টজাল, চরঘেরা জাল, গুটি জাল, বেহুন্দি জালসহ অন্যান্য নিষিদ্ধ যেসব জালগুলো আছে সেগুলোর ব্যবহার বন্ধের জন্য বিশেষ কম্বিং অপারেশন চলমান রয়েছে। কম্বিং অপারেশনের তৃতীয় পর্যায় এখন চলছে। এটি শুরু হয়েছে ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখ থেকে চলমান হয়ে ৯ তারিখ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলমান রয়েছে। এই অপারেশন সফল করার লক্ষে নৌ-পুলিশ হেড কোয়াটার্স থেকে ৬০ সদস্যের একটি বড় টিম আজকে পদ্মা-মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, অভিযানে আমরা প্রায় ২০ লাখ মিটার কারেন্টজাল, ৭হাজার কেজি জাটকা, ১টি মাছ ধরার নৌকা এবং ছয়জন জেলেকে আটক করেছি। এসব আটকের ঘটনায় চাঁদপুর নৌ থানায় এবং শরীয়তপুরে দুটি মামলা করা হয়।

এছাড়াও জব্দকৃত কারেন্টজাল বিকালে অভিযানকৃত এলাকায় এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার মাওয়ায় আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং জাটকাগুলোও সেখানকার এতিমখানা ও দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

জাটকা রক্ষায় আগামীতেও এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ইলিশে পোনা জাটকা নিধনরোধে জেলেদের প্রতি আহবান জানান, চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) কামরুজ্জামান।

(ঢাকাটাইমস/০৯ফেব্রুয়ারি/এসএ)