ফরিদগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় পানিশূন্যতা, স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খননকাজ শুরু

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:১৭

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পৌরসভাসহ পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন খালে পানি না থাকায় চাঁদপুর সেচ প্রকল্প ভুক্ত সকলস্থানে বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খননের কাজ শুরু করেছে এলাকারবাসীসহ সকল এলাকার ইউপি সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার উপজেলার ৬ নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড খাজুরিয়া বাজারে এ কর্মসূচী উদ্বোধন করেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নুরুন্নবী নোমান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চক্রবর্তী।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ জানান, তার ইউনিয়নসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের শত শত হেক্টর জমির সেচ পানির অভাবে আজ অবধি বোরো আবাদ করতে পারছে না। তাই আমরা ভরাট হয়ে যাওয়া খালে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন শুরু করেছি।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তার ইউনিয়নের অন্তত ২০টি স্থানে প্রতিবন্ধকতা দুর করার সাথে সাথে খনন কাজ শুরু করেছি।

জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে রোরো আবাদের জন্য জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সেচ প্রকল্প ভুক্ত খালে পানি আসার কথা থাকলেও ফেব্রæয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত উপজেলা পূর্বাঞ্চলের গুপ্টি পূর্ব,গুপ্টি পশ্চিম, রূপসা উত্তর, রূপসা দক্ষিণ এবং পৌর এলাকায় কয়েকটি ওয়ার্ডে শত শত একর ফসলি জমি তৈরির পরও পানির অভাবে ধানের চারা লাগাতে পারছে না চাষীরা।

এর আগে ৭ ফেব্রæয়ারি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, কৃষি বিভাগের লোকজন, পাউবো ও বিএডিসি প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়।

বৈঠকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ খালগুলোর বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন বলেন। দখলে ও দূষণে প্রতিটি ইউনিয়নে সেচ খালগুলো অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। তাছাড়া অনেক খাল রয়েছে বহু বছর খনন করা হয় না। এগুলো ইতিমধ্যেই ভরাট হয়ে যাওয়া এবং ন্যবতা না থাকায় এই দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম জানান, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পানি উন্নয়ন বোর্ড পানি না ছাড়ায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এখন বোরো আবাদের জন্য এই পর্যন্ত ৬০৮টি সেচপাম্প চালু রয়েছে। ফলে খালে যে পরিমাণ পানি রয়েছে তা দিয়ে সেচপাম্পগুলো চলার কারণে পূর্বাঞ্চলে খাল গুলোতে পানি যাচ্ছে না।

এদিকে ভুক্তভোগীরা জানান, একমাসের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও খালে পানি না থাকায় তারা বোরো আবাদ থেকে বিরত। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তাতে তাদের জমিগুলো এ বছর আবাদশূন্য থাকতে পারে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান এ বিষয়ে জানান, সেচখালে পানি সরবারাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করেছি। এছাড়া আগামীতে ৪০ দিনের কর্মসূচিসহ টিআর কাবিখার প্রকল্পকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :