সুরঙ্গ খুড়ে চাচার দোকানে চুরি করতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলায় নিখোঁজের ৩ দিন পর একটি দোকানের মেঝের নিচ থেকে সুরঙ্গের ভেতরে চাপা পড়া কাজল মিয়া (১৭) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকালে পাংশা উপজেলার যশাই ইউপির খলিলের মোড়ে কাজলোর চাচা মাসুদ মিয়ার দোকান ঘরের ফ্লোরের নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত কাজল মিয়া পাংশা উপজেলার যশাই ইউপির ৪ নং ওয়ার্ডের খলিল মোড় গ্রামের কৃষক মনিরুল মিয়ার ছেলে।

এলাকাবাসী জানান, পাকা দোকান ঘরের মেঝের নিচে সুরঙ্গ কেটে চুরির উদ্দ্যেশে ঢোকার পরে বালির নিচে চাপা পড়েই কাজলের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত কাজলের বাবা মনিরুল মিয়া বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় একই ইউনিয়নের রাজ্জাক মোল্লার ছেলে নাহিদ তার ছেলে কাজলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে কাজল আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরদিন সকালে নাহিদের সঙ্গে দেখা হলে কাজলের কথা জিজ্ঞেস করলে নাহিদ বলে রাত ১১টার সময় কাজল বাড়িতে ফিরে গেছে। পরবর্তীতে কাজলের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে গত ২১ ফেব্রুয়ারির দিন স্থানীয় মাসুদের মুদি দোকান ঘরের নিচে একটি কোদাল, মাটিসহ কিছু আসবাবপত্র এবং কাজলের জামা কাপড় পাওয়া যায়। তখনই আমাদের সন্দেহ হয় কাজলের কিছু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে আমি পাংশা থানায় অভিযোগ করতে যাই, তখন একজন ফোন করে বলে যে মাসুদের দোকান ঘরের মেঝের নিচ থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং মাছি উড়ছে। পরবর্তীতে স্থানীয় মেম্বারসহ কয়েকজন মিলে দোকান ঘরের ফ্লোর ভেঙে দেখতে পায়- কাজলের লাশ মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে। পরবর্তীতে পুলিশে খবর দেওয়া হয় এবং পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে পাংশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার সাহা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নিহত ছেলেটি আটকা পড়ে সে দোকান ঘরের নিচ থেকে বালি সরিয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা করেছিল এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে আমরা দোকানের ফ্লোর ভেঙে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/এলএ)