বসুন্ধরা টিস্যুর শুভেচ্ছা দূত হলেন চঞ্চল চৌধুরী

আবারও শুভেচ্ছা দূত হলেন দেশের অন্যতম সেরা অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। এবার তার কাঁধে এই গুরুদায়িত্ব তুলে দিল দেশের সবচেয়ে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম ব্র্যান্ড পণ্য বসুন্ধরা টিস্যুর শুভেচ্ছা দূত করা হয়েছে চঞ্চল চৌধুরীকে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত সানফ্লাওয়ার রেস্টুরেন্টে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হন বহু প্রতিভাবধর এই অভিনেতা। চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে চুক্তিপত্রে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান।

এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের ইনচার্জ মেজর মোহসিনুল করিম (অব:), বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, হেড অব ডিভিশন মো. তৌফিক হাসান, মার্কেটিং এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, কাজী ইমদাদুল হক, জেনারেল ম্যানেজার, সেলস, টিস্যু ও হাইজিন, মার্কেটিং ম্যানেজার ইমরানুল কবিরসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বসুন্ধরা টিস্যুর কমিউনিকেশন এজেন্সি এমপাওয়ারের প্রতিনিধিরা।

চঞ্চল চৌধুরী দেশের একজন প্রতিভাবান ও জনপ্রিয় অভিনেতা, যিনি বর্তমানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও কাজ করছেন। বসুন্ধরা টিস্যুর কার্যক্রমের সঙ্গে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে এক বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। অস্বাস্থ্যকর চর্চাসহ যেকোনো রকম অশুদ্ধ চিন্তাভাবনার বিরুদ্ধে ছাড় না দেওয়ার অব্যাহত অভিযানে ব্র্যান্ডটির বেশ কিছু কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ থাকবে তার।

এ প্রসঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা খুবই আশাবাদী যে, বসুন্ধরা টিস্যু ব্র্যান্ডের সঙ্গে সবার ভালোবাসার এই অভিনয়শিল্পীর যোগদান আমাদের ক্রেতাসাধারণসহ দেশের আপামর মানুষের কাছে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ধারাবাহিকতায় আমাদেরকে আরও সহায়তা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বসুন্ধরা টিস্যু দীর্ঘ সময় ধরে নানা রকম অশুদ্ধতার বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। সেখানে আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার একটি বড় আর বিশেষ ক্ষেত্র হচ্ছে অটিজমগ্রস্ত শিশুদের উন্নয়নে কাজ করা। সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেই অটিজম সম্পর্কে না জেনে তাদের বিরূপ ধারণা থেকে অটিজম-আক্রান্ত শিশু ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে বন্ধুভাবাপন্ন কিংবা স্বাভাবিক আচরণ করতে ব্যর্থ হন। তাই তাদের জীবনকে একটু সহজ করতে এমন শিশুদেরকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসার পাশাপাশি এখন আমরা কাজ করছি সাধারণ সব নাগরিককে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরও আলোকিত ও সচেতন করতে।’

মোস্তাফিজুর রহমান এও বলেন, ‘২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসুন্ধরা টিস্যুর প্রতি প্যাক বিক্রির টাকা থেকে এক টাকা যোগ হয় বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের কাজে, অটিজমগ্রস্ত শিশুদের সার্বিক উন্নয়নে। চঞ্চল চৌধুরীর মতো একজন বহুপরিচিত ব্যক্তিত্ব আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় অশুদ্ধতার বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই আরও নতুন ও কার্যকর মাত্রা পাবে বলে আমার বিশ্বাস।’

অন্যদিকে চঞ্চল চৌধুরী জানিয়েছেন, আগামী এক বছরের জন্য তিনি বসুন্ধরা টিস্যুর বেশ কিছু কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ করবেন। অভিনেতা বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটির কর্মপরিকল্পনা আমার ভালো লেগেছে। তাদের পণ্যও ভালো। সব মিলিয়ে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি।’

এর আগে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে টেলিকম প্রতিষ্ঠান রবির শুভেচ্ছা দূত হন চঞ্চল চৌধুরী। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তিতে কাজ করেন তিনি। এর মধ্যে এক বছরে রবির আটটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেন চঞ্চল। এবার তার যাত্রা শুরু হলো বসুন্ধরা টিস্যুর সঙ্গে।

(ঢাকাটাইমস/২মার্চ/এজে)