চন্দ্রমোহন ইউনিয়নে টিসিবির কার্ড নিয়ে চেয়ারম্যানের নয়ছয়
বর্তমান সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করলেও, কিছুসংখ্যক অসাধু লোকের জন্য সেই কাজ ভেস্তে যাচ্ছে। এমনি এক বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্ম দিয়েছেন বরিশাল সদর উপজেলার ১০ নম্বর চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ হাওলাদার (সিরাজ মাস্টার)।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত (২২ মার্চ) চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের ভেদুরিয়া গ্রামে টিসিবি পণ্য বিতরণকালে ১০টি ভুয়া কার্ড শনাক্ত করেন ওই এলাকার টিসিবি ডিলার। কার্ডগুলো চেয়ারম্যান সিরাজ হাওলাদারের স্বজন আবুল কালাম ও হাসানের কাছ থেকে উদ্ধার হয়। এই ঘটনা জানাজানি হলে চেয়ারম্যান টিসিবি ডিলারকে চেপে যেতে অনুরোধ করেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন ভুয়া কার্ডের বিষয় খেয়াল করলে মূহুর্তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, চেয়ারম্যানের ভাই ও তার ভাইয়ের ছেলেরা বিভিন্ন লোকের ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে তাদের বলেছে কার্ড হয়নি। অথচ সেই কার্ড থেকেই টিসিবি পণ্য ছাড়িয়ে নিতো চেয়ারম্যানের স্বজনরা।
এই ঘটনায় ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ড ভেদুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সালাম বেপারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, চেয়ারম্যানের স্বজনরা যে ১০টি কার্ডের মাধ্যমে এতদিন টিসিবি পণ্য ছাড়িয়ে নিতো তার ভেতরে এই সালাম বেপারীরও একটি কার্ড রয়েছে।
সালাম বেপারী বলেন, ‘অনেক আগে টিসিবি কার্ড করার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও ছবি দিয়েছি। দেওয়ার পরে অনেকবার খোঁজ-খবর নিতে আসলে চেয়ারম্যান জানায় তোমার কার্ড হয়নি। গত (২২মার্চ) ভেদুরিয়া গ্রামে টিসিবি পণ্য বিতরণের সময় ১০টি কার্ডের ঘটনা ফাঁস হলে জানতে পারি ওই কার্ডের ভেতরে আমারও একটি কার্ড আছে।
এঘটনায় আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টিসিবি কার্ডের অনিয়মের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, তদন্ত চলমান আছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
এ বিষয়ে চন্দ্রমোহন ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ হাওলাদার বলেন, আবুল কালাম ও হাসান আমার আত্মীয়স্বজন, তবে আমি কিছু করিনি। আমার বিরুদ্ধে কারা যেন ষড়যন্ত্র করছে।
(ঢাকাটাইমস/০৩এপ্রিল/এসএ)