ভেঙে গেল বেইলি ব্রিজ, লরিচালকের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি টাকার মামলা

ময়মনসিংহের ত্রিশালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের খিরু নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজ ভেঙে ৪২ চাকার ট্রান্সফরমারবাহী লরি ও প্রাইভেটকার নদীতে পড়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সড়ক ও জনপদ বিভাগ ময়মনসিংহের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হালিম এ মামলাটি করেন। মামলার আর্জিতে সরকারের প্রায় ত্রিশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়। মামলায় চট্ট মেট্রো-ড- ৮১-৪১২৯ এবং লরি গাড়িটির অজ্ঞাত চালককে অভিযুক্ত করা হয়।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, আশির দশকে নির্মিত বেইলি ব্রিজটি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসেইন মুহম্মদ এরশাদ উদ্বোধন করেছিলেন। বেইলি ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় গত বুধবার বিকাল থেকে চার লেনের ময়মনসিংহমুখী দুই লেন বন্ধ রয়েছে। মহাসড়কের এই অংশে লেন পরিবর্তন করে অপর ব্রিজটি দিয়ে থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। ঝুঁকি এড়াতে দুর্ঘটনাকবলিত স্থানটি চিহ্নিত করে লাল নিশানা সাঁটিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে ট্রান্সফরমারবাহী লরি ও প্রাইভেটকার উদ্ধারে এখনো তাদের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা যায়নি।

এ ঘটনায় প্রাইভেটকারের চারজন আহত হন। তারা হলেন- ঢাকা কুড়িলের কুড়াতলার মিলন শিকদার (৩০), মনির (৩০), পারভেজ (৩৯) ও জাকির হোসেন (৩০)।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন বলেন, রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে লরিচালককে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। তবে ব্রিজটি আশির দশকে নির্মিত হওয়ায়, কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে ব্রিজের ধারণক্ষমতা সংবলিত একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দিতে পারতেন। তাহলে এরকম দুর্ঘটনা নাও ঘটতে পারত।

বেইলি ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল কিনা জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম হোসেন বলেন, এমনটা নয়। তবে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারসহ একশ টনের অধিক ওজন ছিল লরিটির। ভার নিতে না পারায় ব্রিজটি ভেঙে গেছে। সওজের কোনো অনুমতি ছাড়াই এ ধরনের ভারি মালামাল আনা নেওয়া করা হচ্ছিল।

(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/এলএ)