আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার লড়াইকে চীন সবসময় সম্মান করে: রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ জুন ২০২৩, ১৮:১০ | প্রকাশিত : ২২ জুন ২০২৩, ১৭:৫৯

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি ও জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ করা অনুচিত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়ে নিজ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তা চীন সবসময় সম্মান করে।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে চীনের রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

সাক্ষাতকালে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বিগত সময়ে যে অগ্রগতি হয়েছে তার উল্লেখ করে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, এশিয়ার দেশ হিসেবে বাংলাদেশের এগিয়ে চলা অন্যান্য এশিয়ান দেশের জন্য অনুপ্রেরণার উদাহরণ। চীন বাংলাদেশের এই অগ্রগতিতে বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসাবে পাশে থাকতে চায়।

বর্তমানে চীন বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তি উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এশিয়ান দেশ হিসাবে এ অর্জন আমাদের সবার জন্যই গর্বের। চীনের জিডিপি ১৯ দশমিক ৩৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার জানিয়ে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, উভয় দেশ পারস্পরিক লাভ ও মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করতে পারে।

মন্ত্রী এ সময় ৯০ দশকে চীনের রেশনজিং ভ্রমণের স্মৃতিচারণ উল্লেখ করে বলেন, চীনের অবকাঠামো, সক্ষমতা এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের প্রমাণ তখনই অনুধাবন করা যেত।

চীনের রাষ্ট্রদূত ব্রিকসে বাংলাদেশের যোগদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এতে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্পে চীনা অর্থায়নের বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করার ফলে পরিবেশের সুরক্ষার সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্প সংলগ্ন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।

রাজশাহীতে নির্মিতব্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ভূ-উপরস্থ পানি শোধনাগার প্রকল্পে চীনা সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন আরও ভূমিকা রাখতে চায় বলে জানান ইয়াও ওয়েন।

তিনি বলেন, চীন দু’দেশের মধ্যে সম্পৃক্ততা আরও বাড়াতে চায়। এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূত চীনের অর্থায়নে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে চীনা সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। এ প্রকল্পটিকে একটি আদর্শ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ক্রমবর্ধমান নগরায়নের ফলে উৎপন্ন বর্জ্য নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এ প্রকল্প বাংলাদেশে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

আলোচনা শেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এবং চীনের রাষ্ট্রদূত স্ব স্ব দেশের স্মারক উপহার বিনিময় করেন।

(ঢাকাটাইমস/২২জুন/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :