রংপুরে ১০ বোতল প্লাস্টিকের বিনিময়ে কম্বল দিচ্ছে চলো ‘স্বপ্ন ছুঁই’
দশটি প্লাস্টিকের বোতল দিলেই শীতার্ত মানুষকে কম্বল দিচ্ছে ‘স্বপ্ন ছুঁই’ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এখন পর্যন্ত ২০০টি পরিবারকে কম্বল দিয়েছে সংগঠনটি। সমাজ ও প্রকৃতির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সদস্যরা।
তারা জানান, রংপুরে প্রথমবারের মতো আমরাই এ উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের এ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও চলবে। এর মাধ্যমে ‘স্বপ্ন ছুঁই’ মানুষকে একটি বার্তা দিতে চায়। আর তা হচ্ছে- প্লাস্টিকের ফলে পরিবেশ যে হারে দূষিত হচ্ছে, তা ধীরে ধীরে হুমকি হয়ে উঠছে। এ প্লাস্টিকই পরে মানুষের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তাই এখন থেকেই সচেতন হওয়া দরকার।
প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে কম্বল নিতে আসা মরিয়ম বেগম জানান, ‘আমি গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই। এই কম্বল এবার শীতে কাজে লাগবে। এবার শীতে আমার মতো গরীব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে কম্বল দিবে এটা ভাবি নাই।’
শিশু নাহিদা জানান, ‘আমি ১০টা বোতল দিয়ে একটা কম্বল পাইছি। তাতে করি পরিবেশ সুরক্ষা পাবে, আমিও কম্বল পেয়ে খুশি।’
চলো ‘স্বপ্ন ছুঁই’য়ের প্রতিষ্ঠাতা মুহতাসিম আবশাদ জিসান জানান, জাপানের ছোট্ট একটি শহর কামিকাতসু। এ বছর তারা দজিরো প্লাস্টিক ওয়েস্ট লক্ষ্য স্থির করে এবং এর বাসিন্দারা সেই অনুযায়ী রিসাইক্লিং সেন্টারে নির্ধারিত প্লাস্টিক বর্জ্যগুলো ফেলছেন। নিয়মিত তা তদারকি করা হচ্ছে। যদি জাপানের ছোট্ট একটা শহরের যেখানে মাত্র দুই হাজার বাসিন্দা, তারা পারেন, তাহলে রংপুরের মানুষ কেনো পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘আসলে এখানে বিষয়টা অভ্যাস এবং যথাযথ তদারকির। আমাদের প্রোগ্রাম করার মূল উদ্দেশ্যটাই ছিলো পরিবর্তন নিয়ে আসা। নীতি-নির্ধারকদের এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে একটা মেসেজ পৌঁছে দেওয়া যে, আমরা চাইলেই কি-না পারি। আমরা জিরো প্লাস্টিক ওয়েস্টের একটা সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করে প্লাস্টিকের বিনিময়ে শীতার্ত মানুষদের উপহার হিসেবে কম্বল দিয়েছি। জিরো প্লাস্টিক ওয়েস্ট সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে এ ধরনের ছোট ছোট উদ্যোগ নিলে একটা সময় এই প্লাস্টিক নিয়ে আমাদের আর হুমকির মুখে পড়তে হবে না।’
(ঢাকাটাইমস/১০ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/জেডএম)