গ্লানিমুক্ত হোক নতুন বছরের জীবনধারা

আলী হাসান
| আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫১ | প্রকাশিত : ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৭

প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ঘুর্ণিপাকের গোলোক ধাঁধা পিছনে ফেলে এবং পরম আশাবাদিতায় বুক বেঁধে আমরা আরও একটি বছর শুরু করলাম মাত্র। নতুন বছরটি শুরু হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক জাঁকজমকপূর্ণ নির্বাচনি আমেজের মধ্য দিয়ে। নিয়ত হরতাল-অবরোধের জাঁতাকলে পড়ে দেশের মানুষ একেবারেই নাকাল অবস্থা; এর ভেতর দিয়েই জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি এগিয়ে যাচ্ছে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট তারিখের দিকে। বলা যায়- এবারের নতুন বছরটি একটি ভিন্ন মাত্রা ও তাৎপর্যপূর্ণতা পেয়েছে বছরের শুরুতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অনুষ্ঠানের কারণে। আগামী ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার তাদের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ করেছে ইতোমধ্যেই। এখন এক সপ্তাহেরও কম সময় হাতে রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তোড়জোড় চারদিকে। কিন্তু অতীব দুঃখজনক যে, বিএনপি ও সমমনা কয়েকটি রাজনৈতিক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে এই সংসদ নির্বাচন থেকে অনুপস্থিত থাকছে এবং তারা লাগাতার হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে।

গত ২৮শে অক্টোবরের পরে এই দুই মাসেরও বেশি সময়ে রাজধানীসহ দেশজুড়ে ভাঙচুর, বোমা হামলা ও অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে ব্যাপক প্রাণহানিসহ এক চরম অরাজক ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে দেশে। চলন্ত ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে ঘুমন্ত মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ট্রেনের লাইন খুলে ফেলে ট্রেনকে করা হচ্ছে লাইনচ্যূত। এসব ভয়ংকর নাশকতায় দেশের মানুষ যারপরনাই ভীত ও সন্ত্রস্ত। এটি খুবই দুঃখজনক যে, ঘটমান এসব নাশকতার মাধ্যমে নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার ঘটনাগুলো কোনো ভিনদেশি শত্রুরা করছে না; করছে এই দেশেরই অন্নজলে লালিত-পালিত কিছু মানুষরূপী হায়েনা। বিএনপি ও তাদের দোসর-রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠান পর্যন্ত কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইতোমধ্যেই। বুঝাই যাচ্ছে এই কর্মসূচিতে ভাঙচুর, অগ্নিসন্ত্রাসসহ যে সমস্ত নাশকতা চালানো হবে তাতে দেশজুড়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে। সামান্য বিরতিসহ চলমান এই লাগাতার হরতাল-অবরোধের মধ্যেও নিয়ম ও আইন অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ঠিকই কিন্তু নির্বাচনটি সকল দলের জন্য অংশগ্রহণমূলক হলো না- এটাই এই নির্বাচনের অপূর্ণতা। সকল দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানই সকলের কাম্য ছিল।

দুই.

বছরজুড়েই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি নিম্ন-আয়ের সাধারণ মানুষদের মধ্যে চরম ভোগান্তি তৈরি করেছে। প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ার কারণে টিসিবির লাইনে দেখা গেছে দীর্ঘ লাইন। সেখানে শুধু নিম্নবিত্ত নয় মধ্যবিত্তের লোকজনকেও ভিড় করতে দেখা গেছে। চাল, ডাল, তেল, মাছ, মাংস ও সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের অগ্নিমূল্য এখন বাজারে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষের যারপরনাই ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না- নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর দাম যে হারে বাড়ছে সেভাবে মানুষের আয় বাড়ছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বাড়ছে কিন্তু সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলো অনেকটা দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। প্রশ্ন হচ্ছে- নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে আর বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ঠুঁঠো জগন্নাথ হয়ে বসে থাকবে, এটা কেন হবে?

আসলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে বাজার ব্যবস্থাপনায় কর্তৃপক্ষের যথেষ্ট মনিটরিং নেই। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়- গত দুই বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় কমপক্ষে সাতটি পণ্যের দাম বেড়েছে প্রায় ২০০ শতাংশ পর্যন্ত এবং এর কাছাকাছি বেড়েছে আরো কিছু পণ্য। বছরজুড়ে প্রতিটি পণ্যের মূল্য এতটাই বেড়েছে যে- ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার পণ্যমূল্যের বিষয়টি আমলে নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্মক প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনুষ্ঠাতব্য সংসদ নির্বাচনের দলীয় ইশতেহারেও বিষয়টি এক নম্বরে রেখেছে।

তিন.

পদ্মাসেতুতে রেল যোগাযোগ বর্তমান সরকারের একটি মেগা প্রকল্প ছিল। পদ্মাসেতু দিয়ে সড়ক পরিবহণ নিশ্চিত করার পরেই রেল যোগাযোগের কর্মসূচিটি হাতে নেয় সরকার। এক সময় চালু হয় স্বপ্নের পদ্মাসেতু- সড়ক পথে রাজধানীর সাথে যুক্ত হয় দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। পরে সেই সেতু ব্যবহার করে ট্রেনযাত্রার স্বপ্নও পূরণ হয়েছে। পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পরে ঢাকা-দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রায় ২ থেকে ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় কমে এসেছে এবং রাজধানীর সঙ্গে নতুন এই যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হওয়ার ফলে প্রতিবছর এ অঞ্চলের দারিদ্র্য হ্রাস পাচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে। মনে রাখা প্রয়োজন- জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের বাস দেশের এই দক্ষিণাঞ্চলে। পদ্মাসেতু চালুর পর দেশের এই বিপুল জনগোষ্ঠীর সহজে ও কম সময়ে রাজধানীসহ অন্য জেলাগুলোর সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপনের ফলেই উন্নয়নের গতি আরও বেড়ে গেছে। বাড়িয়ে বলা নয় যে- বর্তমান সরকার দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ঈর্ষণীয় সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছে। সড়ক যোগাযোগ ও মেট্রোরেলসহ দেশজুড়ে রেল যোগাযোগের মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকেও রাজধানীসহ আন্তজেলা-উপজেলার উন্নয়ন যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুক্ত করেছে। রেল যোগযোগসহ পদ্মাসেতু চালু করা ছিল সরকারের সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প। গত বছর পদ্মাসেতুতে রেল যোগাযোগ চালু করে সরকার তাদের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারাবাহিকতাকেই আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।

চার.

গত ২৮শে অক্টোবর চালু হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেল। টানেলকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই মাত্র ৫ থেকে ১০ বর্গমাইলের মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বিশাল দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রত্যাশা করছে আগামী ২ থেকে ৫ বছরের মধ্যে এখানে নতুন করে ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আসবে। উদ্বোধনের বেশ আগেই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেছে এই টানেল। প্রথম বছরে এই টানেল দিয়ে ১৭ হাজারেরও বেশি গাড়ি পারাপার হবে- একই সঙ্গে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর এবং মিরসরাই ইকোনোমিক জোনের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনেও এক নতুন সেতুবন্ধন হবে। বঙ্গবন্ধু টানেলকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আশাতীত আগ্রহের কারণেই এ বিষয়ের সংশ্লিষ্টরা প্রত্যাশা করছেন- আগামীতে দক্ষিণ এশিয়ার বিজনেস হাব হয়ে ওঠবে বৃহত্তর চট্টগ্রাম এবং তা এই বঙ্গবন্ধু টানেলকে কেন্দ্র করেই।

পাঁচ.

ইতোমধ্যেই তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পাল্টে গেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক এই তৃতীয় টার্মিনালের সফ্ট লঞ্চিংয়ের ভিতর দিয়ে আরও একটি মাইলফলক স্পর্শ করল বাংলাদেশ। আশার কথা হলো- এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের অনেক এয়ার এয়ারলাইন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের ফ্লাইট কার্যক্রম শুরু করার দিকে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ফ্লাইট পরিচালনায় তাদের এই বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ দেশের এভিয়েশন খাতকে এগিয়ে নিতে এক বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন এ বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে সুইস এয়ার, এয়ার কানাডা, এয়ার ফ্রান্সসহ অন্তত ১৫টি নতুন বিদেশি এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

ছয়.

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইউরেনিয়াম হস্তান্তরের মধ্যদিয়ে ইতোমধ্যেই পারমাণবিক শক্তির যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। আশার কথা হলো- খুব দ্রুতই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যাবে এবং রূপপুরের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিড লাইনে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য রাশিয়া থেকে আনা ‘ফ্রেস নিউক্লিয়ার ফুয়েল‘ বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তরও করা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের ব্যাপার যে- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি পারমাণবিক স্থাপনা। বিশ্ব-পারমাণবিক ক্লাবে নাম লেখানোর জন্য বংলাদেশ এখন উঠে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়।

সাত.

যানজটের নগরী রাজধানী ঢাকার জন্য মেট্রোরেল হয়ে এসেছে এক পরম আশীর্বাদ হিসেবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর আধুনিকসব শহরের মতোই ঢাকার নাগরিকরা এখন মেট্রোরেলে অধিকতর সহজ ও আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করতে পারছেন। অতি অল্প সময়ে ঢাকার নাগরিকদের যানজটবিহীন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত আগে ছিল যেখানে দুর্ভোগপূর্ণ এখন অপেক্ষাকৃত কম সময়ে যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরে যারপরনাই আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। তুলনামুলক ভাড়াটা একটু বেশি হলেও যাত্রীসাধারণ সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণভাবে অল্প সময়ে তাদের গন্তব্যে যেতে পারায় কোনো অভিযোগও করছে না। অফিস ও কর্মমুখী যাত্রীদের পাশাপাশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও অনেকে নিছক মেট্রোরেলে ভ্রমণের উদ্দ্যেশেই ঢাকায় আসছেন এবং পরিবারের সদস্যরা মিলে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করছেন। শুরুতে মেট্রোরেলের সবগুলো স্টেশন চালু না হলেও এখন উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সবগুলো স্টেশন চালু হয়েছে।

আট.

রাজধানীর উত্তরা থেকে ফার্মগেইট পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং একের পর এক উড়াল সেতু নির্মাণ শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নকে করেছে অনেক বেশি মহিমান্বিত ও তাৎপর্যপূর্ণ। উত্তরা থেকে ফার্মগেইট আসতে ভয়াবহ জ্যাম পেরিয়ে আগে যেখানে সময় লাগত ২ ঘণ্টারও বেশি সময়, এখন সেখানে সময় লাগছে মাত্র ১৫ মিনিট। যোগাযোগ ব্যবস্থায় এই অভাবনীয় সাফল্য এক সময় ছিল কল্পনারও অতীত। এই সাফল্যগুলো শুধু রাজধানী ঢাকায়ই নয়, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ দেশে বিভাগীয় সকল শহরেই হচ্ছে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন চালুকরণের মতো একটি অসাধারণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে শেখ হাসিনা সরকার। ঢাকা থেকে পর্যটন সুন্দরী কক্সবাজার যেতে এখন কোনো দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে না ভ্রমণযাত্রীদের।

আসন্ন সংসদ নির্বাচনত্তোর বর্তমান সরকারই যে নতুনভাবে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে- এটা দিবালোকের মতোই পরিষ্কার। সরকারের কাছে প্রত্যাশা- দুর্নীতি ও অনিয়মকে প্রশ্রয় না দিয়ে জনকল্যাণে সরকার তার সর্বাত্মক শক্তি বিনিয়োগ করুক। দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে এনে কৃষি ও শিল্পের উৎপাদন বাড়িয়ে দেশকে নিয়ে যাক এক অনন্য উচ্চতায়। উন্নয়নের যে দৃষ্টান্ত বর্তমান সরকার রেখে চলেছে তারই ধারাবাহিকতায় দেশ এগিয়ে যাক অব্যাহত গতিতে এবং প্রতিষ্ঠা পাক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি প্রগতিশীল উন্নত রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা।

আলী হাসান: সাংবাদিক, কলাম লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :