শীতে কাঁপছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
পাহাড় অরণ্যে ঘেরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সবুজ ক্যাম্পাস কাঁপছে শীতে। আর এ হাড় কাঁপানো তীব্র ঠান্ডা ও কুয়াশাকে উপেক্ষা করেই ক্লাসে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তরের হিমেল হাওয়া, ঝরাপাতা এবং হরেক রকম পাখির গান শুনিয়ে প্রতিবারই এসে থাকে শীত। শিক্ষার্থীর শীতের আড়মোড়া ভেঙে ছুটে আসেন জিরো পয়েন্ট, রেলস্টেশন, শহীদ মিনার, ২নং গেইট, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রান্তে। এ শীতের আবহে সঙ্গে তালমিলিয়ে চলে আড্ডা ও আনন্দে মাতামাতি। বিকাল থেকে সন্ধ্যা গড়ালেই চলে শীতের পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। এ শীতের পিঠা খেতেই কেউ একা একা, কেউবা আবার বন্ধুদের সঙ্গে, কেউ কেউ আবার একসঙ্গে দলবেধে চলে আসেন। খালা আর মামাদের এসব পিঠাপুলি খেয়ে নিজ গ্রামের মায়ের হাতের রান্না করা পিঠার কথা মনে হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের।
তবে হঠাৎ করে শীতের এ রমরমা আমেজে যেন ছেদ ফেলেছে ঠান্ডার তীব্রতা। সকালের ঘন কুয়াশা আর রাতের কনকনে আবহাওয়ায় স্থবিরতা দেখা দিয়েছে চারদিকেই।
শীতের সকালে পাতাঝরা বৃক্ষের পথ মাড়িয়ে চোখে কাচা ঘুম নিয়েই অনেককে ছুটে চলতে দেখা গেলেও ক্লাসে উপস্থিতির হারও কমেছে। ক্যাম্পাসের আশপাশে রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচলও কম দেখা গেছে। সকালে ক্লাস নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষকদের। আর শীতের দিন ছোটো থাকায় মাঝে মাঝে শিডিউল জটলায় পড়েন শিক্ষার্থীরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, চট্টগ্রামে মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিন্ম ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, শীতের শুরুর দিকে ক্যাম্পাসে একটা আমেজ লক্ষ্য করা গিয়েছিল। স্টেশনেও আড্ডায় মেতে থাকতো সবাই। তবে এখন শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। শহর থেকে শীতের কারণে ক্লাসে আসে না কেউ কেউ।
একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মিফতাহুন জান্নাত এশা বলেন, শীতের কারণে আমাদের ক্লাস করতে অনেক কষ্ট হয়। তাছাড়া সকালে ক্লাস থাকলে অনেকে শীতের কারণে ক্লাসে আসতে পারে না।
ক্যাম্পাসের রিকশাচালক আবদুল আলী বলেন, শীতের কারণে অনেক কষ্ট হয় গাড়ি চালাতে। পেটের দায়ে গাড়ি চালাতে হয়। আজকে কয়েকদিন স্টুডেন্ট কম থাকায় আয় রোজগারও কম হচ্ছে।
পিঠা বিক্রেতা বিলকিস বলেন, প্রথম প্রথম পিঠা বিক্রি ভালোই হইত, এখন আটটা-নয়টার পর বেশি কেউ আসে না তেমন।
(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)