পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই, রিকশাচালকসহ গ্রেপ্তার চার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫২ | প্রকাশিত : ১৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪১

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে করে ঢাকায় আসা মানুষদের টার্গেট করে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই করে আসছিল একটি চক্র। চক্রটি রিকশাচালকের ছদ্মবেশে যাত্রী তুলে নিজেদের নির্ধারিত স্থানে নিয়ে পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশির নামে ছিনতাই করতো। সম্প্রতি রিকশায় করে কমলাপুর থেকে পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় যাওয়ার পথে এক ব্যবসায়ীর ছেলে এই চক্রের কবলে পড়ে এক লাখ টাকা খোয়ান। এ ঘটনায় রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তে নেমে চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে শাহজাহানপুর থানা পুলিশ।

পুলিশ বলছে, চক্রটি কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করে। টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে রিকশায় তুলে নানা কৌশলে নির্ধারিত স্থানে নিয়ে পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশির নামে ছিনতাই করতো।

অভিযুক্তরা হলন- চক্রের হোতা মো. দেলোয়ার হোসেন ও তার সহযোগী মো. কামরুজ্জামান। দুই রিকশাচালক জাকির হোসেন ওরফে বড় জাকির ও জাকির হোসেন ওরফে ছোট জাকির।

বুধবার রাজধানীর বাড্ডা, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় ৪০ হাজার টাকা ও দুটি রিকশা জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান।

ডিসি হায়াতুল ইসলাম বলেন, “চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানার দেহাটি এলাকার ব্যবসায়ী সামাদ আলী বিশ্বাস ঢাকা থেকে কাপড় কিনে নিজ এলাকায় বিক্রি করেন। সামাদ আলী তার ছেলে সাইদুর রহমানকে নিয়ে গত ৫ মার্চ ঢাকায় আসেন। তারা চুয়াডাঙ্গা থেকে ট্রেনে করে ঢাকার কমলাপুরে আসেন। এরপর বঙ্গবাজার যাওয়ার জন্য একটি রিকশা নেন। রিকশাচালক বঙ্গবাজার না গিয়ে পথ বদলে শাহজাহানপুর চলে আসেন। এসময় তিন ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের গতিরোধ করেন। রিকশা থেকে নামিয়ে পিতা-পুত্রকে তল্লাশি চালিয়ে সামাদ আলীর পকেট থেকে এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় চক্রটি। তারা যাওয়ার সময় ‘কোনো শব্দ করলে গুলি করে হত্যার’ হুমকি দেয়।

এ ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় বাদী হয়ে একটি ছিনতাই মামলা করেন ব্যবসায়ী সামাদ।

মামলার পরে তদন্তে নেমে শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, আবুল হোটেলসহ বিভিন্ন এলাকার ৩৫০টিরও বেশি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ৫ মার্চ সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে ভুক্তভোগী সামাদ ও তার ছেলে রিকশায় করে উত্তর শাহজাহানপুর সড়কে আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনজন মিলে রিকশার গতিরোধ করেন। পরবর্তী সময়ে তারা পুলিশ পরিচয় দিয়ে রিকশা থেকে নামিয়ে তল্লাশির নামে পকেটে থাকা এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন। এরপর দুটি রিকশায় করে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরবর্তী সময়ে ১ লাখ টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে আত্মগোপনে চলে যান।

পরে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের দুই রিকশাচালক বড় জাকির ও ছোট জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের হোতা দেলোয়ার হোসেন ও তার সহযোগী কামরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিসি হায়াত বলেন, “দেলোয়ারের নামে ৪টি মামলা রয়েছে। এখন পর্যন্ত সে ৭ বার গ্রেপ্তার হয়েছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।”

(ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/এসএস/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

বেকারত্ব ঘুচাতে শিখেন অটোরিকশা ছিনতাই, গড়ে তোলেন চক্র

রিমান্ডে লোমহর্ষক তথ্য: মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন

মিল্টন সমাদ্দারের কর্মকাণ্ডের দায় তার স্ত্রী এড়াতে পারেন না: ডিবিপ্রধান

‘আইন যেটা চাইবে সেটাই হবে’, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে ডিবিতে ডাকা হয়েছে

ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিল মর্টগেজ দিয়ে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক লোন নেয় চক্রটি

কষ্টিপাথরের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৭

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার

৭ লাখ টাকার জালনোটসহ কারবারি গ্রেপ্তার

তিন দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :