নববর্ষ ঘিরে আকাশচুম্বী ইলিশের বাজার

রাত পোহালেই পয়লা বৈশাখ। নববর্ষ ঘিরে বাজারে যেমন বেড়েছে ইলিশের চাহিদা, ঠিক তেমনি বেড়েছে এর দাম। আকাশচুম্বী হয়েছে ইলিশের বাজার। ২ হাজার টাকাতেও মিলছে না এক কেজি ইলিশ। দাম শুনে খালি হাতেই ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছে ক্রেতারা। এ কারণে ইলিশের স্বাদ নেওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।
বিক্রেতাদের দাবি, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় ইলিশের দাম বেশি।
এবার ঈদের ছুটি শেষ না হতেই চলে এলো পয়লা বৈশাখ। আগামীকাল রবিবার পয়লা বৈশাখ। ছুটির আমেজ থাকায় রাজধানীর বাজারে বেশিরভাগ দোকানই বন্ধ। ক্রেতা সমাগম কম থাকলেও সবার নজর মাছের বাজারের দিকে। বিশেষ করে ভিড় ইলিশের দোকানে। তবে দাম অনেক বেশি।
শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৪০০ গ্রাম ওজনের ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি। ৭০০ গ্রামের দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা আর এক কেজি ওজনের ইলিশ কিনতে হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকায়। আর এক কেজির বেশি আকারের ইলিশের দাম কেজিতে ৩ হাজার টাকারও বেশি।
বিক্রেতাদের দাবি, ‘মাছ না আসার কারণে বাজারে দাম বেশি। আমাদের কিছু করার নেই। পয়লা বৈশাখের আগে প্রতিবারই দাম একটু বাড়ে। তার ওপর এবার মাছের সরবরাহ কম। সব মিলিয়ে দাম চড়া।’
রাজধানীর বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেশি আসে বরিশাল এলাকা থেকে। সেখানেও চলছে ইলিশের আকাল। যতটুকু মিলছে বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
খুচরা বাজারে বিক্রেতারা বলেন, ঈদ ও অবহেলা বৈশাখ দুই উৎসব মিলে এখন মাছের দাম অনেক বেড়ে গেছে। চৈত্র মাসে মাছের দাম একটু বেশিই থাকে। আমাদেরকে পাইকারি বাজার থেকে মাছ বেশি দামে কিনতে হয়। তাই এখন বিক্রয় করতে হচ্ছে বেশি দামে।
ক্রেতারা বলছেন, সব মাছের দোকানে ইলিশ নেই। যাদের কাছে ইলিশ মাছ আছে তারা ইচ্ছেমতো দাম হাঁকছেন। অনেকেই বাধ্য হয়ে কিনছেন, আবার অনেকে ইলিশ মাছ না কিনেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
দেশে ইলিশের অভয়াশ্রম ছয়টি। এর মধ্যে চারটি বরিশাল বিভাগে। যার তিনটিতে ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
(ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/কেএ)

মন্তব্য করুন