১১ বছর পর নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যামামলা সচল
দীর্ঘ ১১ বছর পর নারায়ণগঞ্জের মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যামামলা সচল হয়েছে। এ মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন– মামুন, শরীফ ও কাজল। র্যাব-১১ কর্মকর্তা তানভীর মাহমুদ পাশা এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল সোমবার দুজন ও মঙ্গলবার একজনকে গ্রেপ্তারের পর শুনানি শেষে নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের ছয়দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেলে শহরের শায়েস্তা খান সড়কের বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় ত্বকী। দুদিন নিখোঁজ থাকার পর ৮ মার্চ সকালে শহরের চারারগোপ এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ত্বকীর ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ও ভাতিজা আজমেরী ওসমানকে দায়ী করে আসছেন ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বী।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ মঙ্গলবার জানান, এর আগে ত্বকী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সুলতান শওকত ভ্রমর এ তিনজনের নাম উল্লেখ করেছিলেন। ওই জবানবন্দির ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ত্বকী হত্যার ঘটনায় র্যাব ইউসুফ হোসেন লিটন, সুলতান শওকত ভ্রমর, তায়েব উদ্দীন জ্যাকি ও সালেহ রহমান সীমান্ত নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার লিটন প্রথম ত্বকী হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তখন তিনি জানান, সালেহ রহমান সীমান্তের জামতলা ধোপাপট্টির বাড়িতে সংঘটিত হয় ত্বকী হত্যাকাণ্ড। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে এ চার আসামি আত্মগোপনে চলে যায়। এখনও তারা পলাতক আছে। মামলার আসামি সুলতান শওকত ভ্রমর তখন তার জবানবন্দিতে বলে, ত্বকী হত্যার নেতৃত্বে ছিলেন আজমেরী ওসমান। তার নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
(ঢাকাটাইমস/১০সেপ্টেম্বর/কেএম)