জুমার নামাজে যাওয়ার আগে হুকুম আর শর্তগুলো জেনে নিন

মুসলমানদের জন্য সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন শুক্রবার। এদিন জুমার নামাজ পড়তে হয়। মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত অংশগ্রহণে এ নামাজ আদায় করা হয় বলে একে জুমা বলা হয়। অন্য নামাজের চেয়ে কিছু হুকুম ও শর্ত মেনে এই নামাজ আদায় করতে হয়। সে হুকুম ও শর্তগুলো কী কী?
জুমার নামাজের হুকুম
১. জুমার নামাজ দুই রাকাত আদায় করতে হয়। প্রত্যেক মুসলিম, প্রাপ্তবয়স্ক, বিবেকবান, স্বাধীন এবং সুনির্দিষ্ট জনপদে স্থায়ীভাবে বসবাস করে এমন ব্যক্তির উপর জুমা নামাজ আদায় করা ফরজ।
২. জুমা নামাজ নারী, রোগী, শিশু, মুসাফির ও দাসদাসীর উপর ফরজ নয়। তবে এদের মধ্যে যারা জুমা নামাজে হাজির হবে তা তাদের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।
৩. আর মুসাফির তথা ভ্রমণকারী ব্যক্তি যদি কোনো স্থানে যাত্রা বিরতি করে এবং সেটি জুমা নামাজের সময় হয় কিংবা জুমা নামাজের আজান শুনতে পায় তবে তার জন্য জুমা আদায় করা জরুরি।
জুমার নামাজের শর্ত
১. জুমা নামাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (জোহর নামাজের ওয়াক্তে) আদায় করা ওয়াজিব।
২. যেখানে জুমা অনুষ্ঠিত হবে সে জনপদের কমপক্ষে দুই বা তারও বেশি নামাজির উপস্থিত হওয়া আবশ্যক।
৩. জুমার নামাজের আগে দুটি খুতবা দিতে হবে।
৪. জুমার নামাজের খুতবায় আল্লাহর প্রশংসা, তাঁর জিকির, স্মরণ ও শুকরিয়া থাকতে হবে।
৫. জুমার খুতবায় উপস্থিত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের দ্বীন ইসলাম তথা আল্লাহ ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্যের দিকে আহ্বান, উৎসাহ প্রদান করতে হবে।
৬. আল্লাহর একত্ববাদ, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসহ সব নবী-রাসুলদের রেসালাত এবং পরকালের ব্যাপারে নসিহত করতে হবে।
৭. তাকওয়া তথা আল্লাহর ভয় সম্পর্কে নসিহত করতে হবে।
৮. জুমার নামাজ আদায়কারীর জন্য জোহরের পড়ার প্রয়োজন নেই। জুমা-ই জোহরের জন্য যথেষ্ট।
৯. জুমা নামাজের হেফাজত করা ফরজ। অর্থাৎ যথা সময়ে জুমা আদায় করতে হবে এবং জুমা আদায়ে আগে আগে মসজিদে চলে যাওয়াও আবশ্যক। আর এতে রয়েছে অনেক ফজিলত।
১০. পর পর তিন জুমা পরিত্যাগ করলে আল্লাহ তাআলা মানুষের অন্তরে মোহর মেরে দেন। (নাউজুবিল্লাহ)
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত, জুমার নামাজের হুকুম ও শর্তসমূহ মেনে যথাযথভাবে জুমা নামাজ আদায় করা এবং জুমা নামাজের ব্যাপারে সতর্ক থাকা। আল্লাহ সবাইকে হুকুম ও শর্তগুলো মেনে জুমার নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুক (আমিন)।
(ঢাকাটাইমস/২০ডিসেম্বর/এজে)

মন্তব্য করুন