ট্রেন বন্ধ: রাজশাহী স্টেশনে ক্ষুব্ধ যাত্রীদের ভাঙচুর, সেনা মোতায়েন

বেতন ভাতা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন না হওয়ায় কর্মবিরতি পালন করছেন রেলের রানিং স্টাফরা। সোমবার দিনগত মধ্যরাত থেকে সারা দেশে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজশাহী রেলস্টেশনে ভাঙচুর করেছেন যাত্রীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চলে। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা টিটিইদের একটি কক্ষের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। অন্য কক্ষগুলোর দরজা তালাবদ্ধ ছিল। যাত্রীরা স্টেশনে পেতে রাখা কিছু চেয়ার ভাঙচুর করেন।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজশাহী রেলস্টেশনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসার পর ক্ষুব্ধ যাত্রীরা শান্ত হন। পরে টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে চলে যান।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্টেশনের প্রবেশ মুখে বেশ কিছু চেয়ার ভেঙে পড়ে আছে। ট্রেনের অপেক্ষায় আছেন শত শত যাত্রী।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের তথ্যমতে, রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিদিন ১৮ জোড়া ট্রেন ছেড়ে যায়। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সকালে কিছু যাত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে বেশ কিছু চেয়ার ভাঙচুর করেছেন। তবে তেমন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী অবস্থান নিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
রেল স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, যারা অনলাইনে টিকিট কেটেছেন তারা অনলাইনে টিকিটের সমমূল্য টাকা ফেরত পাবেন। কোনো প্রকার টাকা কাটা হবে না বলেও জানান রেল কর্মকর্তারা।
এদিকে, মঙ্গলবার সকালে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘দাবি পূরণে অর্থ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’
তিনি বলেন, ‘দাবি থাকতে পারে। কিন্তু ট্রেন বন্ধ রেখে যাত্রীদের জিম্মি করে আন্দোলন করাটা দুঃখজনক।’ এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের হাতে কিছু নেই বলেও জানান তিনি। উপদেষ্টা বলেন, ‘যা করার অর্থ মন্ত্রণালয়কে করতে হবে। আলোচনা চলছে, সমাধান হবে।’
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার দিনগত রাত ১২টার পর থেকে সারা দেশে কর্মবিরতি পালন করছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এতে বন্ধ রয়েছে সারা দেশের ট্রেন চলাচল। স্টেশনে আসা অনেক যাত্রীই এ খবর না জানায় পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
(ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/এজে)

মন্তব্য করুন