হিন্দু সম্প্রদায়ের আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন ঘোষণা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হামলার ঘটনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে হিন্দু সম্প্রদায়ের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। হিন্দুদের ওপর ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা আক্রমণ চালাচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সরকার সংখ্যালঘুদের ওপর সার্জিক্যাল অপারেশন চলাচ্ছে।’ বলেন এর প্রতিবাদে সব আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন আছে।
গত ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরে হামলার ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের পদত্যাগের দাবিতে শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগ ও তোপখানা রোডে সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন সংগঠন। তিন দিনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচিরও ঘোষণা দেন বিক্ষোভকারীরা।
পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে চলমান আন্দোলনে আমাদের সমর্থন ঘোষণা করছি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা-কর্মীরা যে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছেন, তার সঙ্গেও আমরা শতভাগ একমত।’
এই ইস্যুতে বিএনপি কোনো কর্মসূচি দেবে কি না- জানতে চাইলে রিজভী বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত আছে, কালও আমরা মানববন্ধনে বক্তব্য দিয়েছি। আজও আমাদের নেতা বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় একটি অনুষ্ঠানে থাকবেন। প্রতিবাদ জানাবেন।’
আক্রমণে আওয়ামী লীগ
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ শুরু হয়। সেই হামলা এখনও অব্যাহত রয়েছে। সকল অপকর্মের হোতা ক্ষমতাসীনদের লোকজন।
গাইবান্ধার সাঁওতালদের উপর হামলার ঘটনায়ও সরকার জড়িত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা সাঁওতালদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় চারজনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এর নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই।’
সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমশ হামলার ঘটনা বাড়ছেই উল্লেখ করে সরকারের পদত্যাগ দাবি করে রিজভী বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার দায়ভার মাথায় নিয়ে সরকারের এখনই পদত্যাগ করা উচিত। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া উচিত’।
রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও সাংসদের দ্বন্দ্বের কারণেই নাসিরনগরে হামলা হয়েছে। এ ঘটনায়ও যে সরকার জড়িত সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান, এ জেড জাহিদ হোসেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/এমএম/ডব্লিউবি)