কপাল পুড়ল হাসিনা দৌলার
কপাল পুড়েছে ঢাকা জেলা পরিষদের প্রশাসক হাসিনা দৌলার। জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের সমর্থন প্রত্যাশী ছিলেন তিনি, পাননি। দল সমর্থন দিয়েছে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিগত সময়ে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে হাসিনা দৌলার বিরুদ্ধে। দুদক অনুসন্ধান করেছে। তাকে দুদকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের সঙ্গেও তার সম্পর্ক সাপে-নেউলে। দুজনের মধ্যে শীতল যুদ্ধ এক সময় প্রকাশ্যেও আসে। সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে একে অন্যকে দোষারোপ করে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন।
দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকাটাইমসকে বলেন, জেলা পরিষদ প্রশাসকের দায়িত্ব পালনকালে হাসিনা দৌলার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, এতে তার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে। তার ব্যাপারে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নেতিবাচক মনোভাব আছে। এসব বিবেচনায় এবার তিনি দলের সমর্থন পাননি।
অপরদিকে মাহবুবুর রহমান দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রধান ছিলেন। দলের স্থানীয় সূত্র ঢাকাটাইমসকে জানায়, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে দলের বেশির ভাগ নেতাকর্মী মান্নান খানের নৌকার বিপরীতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালমা ইসলামের পক্ষে অবস্থান নেন। নির্বাচনে মান্নান খান পরাজিত হন। পরে উপজেলা নির্বাচনে মান্নান খান এবং মাহবুবুর রহমান আলাদা দুজন প্রার্থী দাঁড় করান। কেউ জিততে পারেননি। সুযোগে জিতে যান বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক নাজমুল হুদার ভাই কামরুল হুদা।
দলীয় সমর্থন না পাওয়ার বিষয়ে জানতে হাসিনা দৌলার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে ফোন বাজলেও তিনি তা ধরেননি।
উল্লেখ্য, ২৫ নভেম্বর রাতে জেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দেশের ৬১ জেলার প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বর/এইচএফ/টিএমএইচ