মুফতি হান্নানের শেষ খাবার সবজি-ডাল-ভাত

ফাঁসির দণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় থাকা হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান শেষ খাবার খেয়েছেন ভাত, সবজি ও ডাল।
মুফতি হান্নান ও তার দুই সহযোগীর ফাঁসির রায় আজ বুধবার রাত ১০টার পর কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কারাগারের একটি সূত্র জানায়, মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী বিপুলের মৃত্যুদ- কার্যকর করতে জল্লাদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কয়েদি রাজু এবং সাকু মিয়া। এ ছাড়া সিলেট কারাগার থেকে জল্লাদ ফারুককে আনা হয়েছে কাশিমপুর কারাগারে। এরই মধ্যে ফাঁসির মহড়াও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার মুফতি আবদুল হান্নানের পরিবারের সদস্যদের বিদায়ী সাক্ষাতের জন্য চিঠি দিয়েছিল কারা কতৃপক্ষ। এর আগে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত এই তিন জঙ্গির প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ গত সোমবার কারাগারে পৌঁছায়।
কারাগার এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কারাগারের মূল ফটক থেকে ২০০ গজের মধ্যে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কারাগারের সামনে এসে উপস্থিত হয়েছে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। এ ছাড়া কারাগারে দুটি সাদা রংয়ের অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করেছে।
সিলেটের হজরত শাহজালালের (রা.) মাজারে ২০০৪ সালের ২১ মে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।
ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত পাঁচ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনকে মৃত্যুদ- এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন। ১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মুফতি হান্নানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে আগের রায় বহাল রাখেন। এরপর তিন আসামিই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি আবেদন খারিজ করে দেন।
(ঢাকাটাইমস/১২এপ্রিল/এএ/মোআ)

মন্তব্য করুন