শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা ‘পরিবারকে ফাঁসাতে’

মজিবর রহমান, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর)
 | প্রকাশিত : ২০ মে ২০১৭, ১৯:০৭

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সাড়ে চার বছরের শিশুকে ১০ বছর বয়সী শিশুর ধর্ষণ চেষ্টা মামলাটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, শিশুটির পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে এই মামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার মামলার পরই শিশুটিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আইন অনুযায়ী কাউকে আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আদালতে পাঠানো বাধ্যতামূলক হলেও শিশুটিকে পাঠানো হয়নি। এর বদলে শিশুটির বয়স নির্ণয়ের জন্য জেলার সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো হয়। পাশাপাশি যে শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে সেই শিশুটিকেও পাঠানো হয়েছে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক খান আবুল কালাম আজাদ ঢাকাটাইমসকে বলেছেন, ‘১০ বছরের একটা ছেলের পক্ষে ধর্ষণ করা সম্ভব নয়।’

জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহাবুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে জানান, মেয়ে শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন এবং আসামির বয়স নির্ধারণের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আসামিকে আদালতে তোলা হবে।

শুক্রবার মামলার পর ১০ বছরের শিশুটিকে ধওে নিয়ে মঠবাড়িয়া থানা হাজতে রাখে পুলিশ। এতে সে সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে তার মা দুলু বেগম জানিয়েছেন।

শিশুটিকে কেন অন্যান্য আসামিদের মতো থানার গাড়দে রাখা হয়েছে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম তরিকুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমরা ২৪ঘণ্টা হাজতে রাখতে পারি।

শিশুটির মা জানান, স্থানীয় জাকির ভুঁইয়ার সঙ্গে তার স্বামীর মাছ ধরা নিয়ে তিন বছর আগের দ্বন্দ্ব ছিল। এর জেরেই দুই শিশুর মধ্যে মারামারি ঘটনাটিকে ধর্ষণ চেষ্টা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়।

এলাকাবাসী জানায়, সাড়ে চার বছর বয়সী মেয়ে শিশুর সঙ্গে ১০ বছর বয়সী শিশুটির মধ্যে মারামারি হয় সেদিন। এ নিয়ে সালিশ বৈঠক হলে মেয়ে শিশুটির পরিবার পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে। কিন্তু ছেলে শিশুটির হতদরিদ্র জেলে পরিবার এই টাকা দিতে পারেনি। এর পরই ছেলে শিশুরি বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করে মেয়েটির পরিবার।

স্থানীয় শিক্ষক জালাল মিয়া জানান, এলাকাবাসী এ ঘটনায় করা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিয়েছে।

স্থানীয় ৯নং সাপলেজা ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজ মিয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘থানা পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে এই মামলাাটি নেন এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাকে বলেন, আসামি ধরে দিতে না পারলে ধর্ষণ চেষ্টায় সহায়তা মামলায় আপনি আসামি হবেন।’ এই জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘ মামলাটি সম্পূর্ণ হয়রানিমূলক ও মিথ্যা।’

ঢাকাটাইমস/২০মে/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :