‘জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণার দাবি উপেক্ষা করুন’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ মার্চ ২০১৭, ১৮:৫৭ | প্রকাশিত : ২৭ মার্চ ২০১৭, ১৮:৪৬

জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে বিএনপির বক্তব্যকে উপেক্ষা করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা্ তিনি বলেন, “এদের কথাটা আপনারা এভাবেই নেবেন যে, ‘পাগলে কী বলে, আর ছাগলে কী না খায়’। এই কথা মনে করে ওদেরকে বাদ দিয়ে দেবেন।”

৪৭ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সোমবার রাজধানীতে আওয়ামী লীগের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিএনপি মিথ্যাচার শুরু করেছিল। কিন্তু এখন সব সত্য মানুষ জেনে গেছে। কাজেই এসব করে এখন আর মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাত ১২টা ২০ মিনিটে এক ওয়্যারলেস বার্তায় স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিহত করার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরদিন চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে এই ঘোষণা পাঠ করেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নানসহ বেশ কয়েকজন। আর ২৭ মার্চ এই ঘোষণা পাঠ করেন সে সময়ের মেজর জিয়াউর রহমান।

১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপি তাকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে দাবি করতে থাকে। তবে এ নিয়ে উচ্চ আদালতে রিটের পর ২০০৯ সালে হাইকোর্টের এক রায়ে বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা হয়। তবে তারপরও বিএনপি জিয়াউর রহমানকেই স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। দীর্ঘ ২১ বছর ধরে মিথ্যা বয়ান দিয়ে গেছে তারা। আমি আজকে একটা অনুরোধ করবো, কে ঘোষণা দিল আর না দিল, এটা নিয়ে আলোচনার আর কিছু নাই এ কারণে। আজকে মানুষের কাছে সত্যটা স্পষ্ট। তার চেয়ে বড় কথা, হাইকোর্ট রায় দিয়েছে… স্বাধীনতার ঘোষণা যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছেন তা ওই উচ্চ আদালতের রায়ে স্পষ্ট হয়েছে। রায় যারা মানে না, তারপরও যারা বলে যায়, এদের উদ্দেশ্যটা কী?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের যুগটা আধুনিক। এখন মিডিয়া ও প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে বিশ্বব্যাপী সঠিক কথাটা জানা যায়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও মিডিয়া আছে, সেখানে যদি কেউ ব্রাউজ করেন, দেখবেন ৭১ সালে জাতির পিতার স্বাধীনতার এবং মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা, সব কিছুই আজকে স্পষ্ট। আমাদের দেশেও সমস্ত ইলেকট্রনিক মিডিয়া থেকে পত্রপত্রিকাতেও সেই পুরনো স্মৃতিকথা লিখে যাচ্ছে, পুরনো ঘটনা উদ্ধৃত করছে। কাজেই সেগুলো মানুষের কাছে স্পষ্ট। ২৫ মার্চ যে গণহত্যা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী শুরু করেছিল। সাথে সাথেই জাতির পিতার স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার হয়।’

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অপপ্রচারের কারণে একটি প্রজন্ম বিভ্রান্ত হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর আমার উদ্দেশ্য ছিল সঠিক ইতিহাসটা জাতির সামনে তুলে ধরা, সত্য কথাটা মানুষকে জানতে দেওয়া এবং সেই সাথে সাথে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার সুনিশ্চিত করা এবং বাংলাদেশকে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তোলা।’ তিনি বলেন, ‘৯৬ সালে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার পর রেডিও-টেলিভিশন সব জায়গায় জাতির জনকের ভাষণ প্রচারের সুযোগ পাই। ৭১ এ যারা ছোট ছিল, তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার সুযোগ পায়।’

ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :