ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা-মেঘনা পারাপার

শওকত আলী, চাঁদপুর প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ০৮ জুলাই ২০১৭, ০৯:১৯

চাঁদপুর জেলা সদর, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ ও হাইমচর উপজেলার অধিকাংশ এলাকা পদ্মা-মেঘনা নদীর উপকূলে। আর এই চার উপজেলায় রয়েছে ৪০টির মতো চরাঞ্চল। এসব চরে থাকা লোকজনকে দৈনন্দিন কাজ ও চিকিৎসার জন্য আসতে হয় জেলা ও উপজেলা সদরে। এজন্য যোগাযোগের জন্য তাদের একমাত্র বাহন হচ্ছে ইঞ্জিন চালিত নৌকা (ট্রলার)। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও চিকিৎসকার জন্য শিশু, নারী ও পুরুষ সবাইকে ট্রলারে করে আসতে হয় জেলা সদরে।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, জেলার মেঘনা নদীর সীমানা ৩৬০ দশমিক ১১ কিলোমিটার। এর মধ্যে পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়া এ তিন নদীর সংযোগস্থল মেঘনা মোহনা। এই নদীগুলো তিন দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে মিশে যাওয়ায় এখানে সর্বক্ষণ পানির এক বিশাল ঘূর্ণিগর্তের সৃষ্টি হয়। এই ঘূর্ণিগর্তই এলাকাটিকে জাহাজ চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। সরকারি ভাবেও চাঁদপুরকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ নৌপথ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এই মোহনার মাঝখানে এক কিলোমিটার জায়গা জুড়ে গোল বৃত্তের আকারে খুঁটি পুঁতে দেওয়া হয়। এখান দিয়েই প্রতিদিন চরাঞ্চলের বহু ট্রলার যাত্রী নিয়ে পদ্মা-মেঘনা পাড়ি দেন।

গতকাল দুপুরে শহরের মোলহেড ত্রিনদীর মোহনায় গিয়ে দেখা যায় বর্ষার শুরুতেই নদীর স্রোত ও ঢেউ অনেক বেড়েছে। আর এরই মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে মাল ও যাত্রী বোঝাই করে ট্রলারগুলো তাদের গন্তব্য ছুটছে।

সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের চরফতেজংপুর ইউনিয়নের মুকেন্দরচর সুরজ খান জানান, প্রতিদিন চরাঞ্চল থেকে কাঁচা তরকারি ও প্রচুর পরিমাণে দুধ শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হয় চরাঞ্চলের লোকদেরকে। সবচেয়ে সমস্যা হয় গর্ভবতী মায়েদের জেলা সদর হাসপাতালে নেয়ার ক্ষেত্রে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৩নং ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম খান জানান, বর্ষাকাল ছাড়াও সব মৌসুমেই চরাঞ্চলের মানুষ ট্রলারে করে যাতায়াত করেন। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও কিছু করার থাকে না। কারণ জেলা সদরে যাওয়ার জন্য অন্য কোনো বাহন নেই। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া দেখা দিলে অনেক সময় যাত্রী ও মালামালসহ ট্রলারগুলো ডুবে যায়।

আবুল কাশেম আরও জানান, চরাঞ্চলের মানুষের নিরাপদ যোগাযোগের জন্য যেন সরকারি নিরাপদ নৌ-যানের ব্যবস্থা করা হয় সে ব্যাপারে আমরা প্রশাসনের কাছে বারবার দাবি করেছি।

(ঢাকাটাইমস/৮জুলাই/প্রতিনিধি/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :