মান্না দে’র চলে যাওয়ার দিন

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ১১:১৫ | প্রকাশিত : ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৫৯

প্রবোধ চন্দ্র দে, ডাক নাম মান্না দে। তিনি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম সেরা সঙ্গীত শিল্পীদের অন্যতম। কিংবদন্তী এ শিল্পী বাংলা, হিন্দি, মারাঠি ও গুজরাটিসহ অজস্র ভাষায় ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সঙ্গীত চর্চা করেছিলেন। বৈচিত্রের বিচারে তাকে হিন্দি গানের ভুবনে সবর্কালের সেরা গায়ক হিসেবে স্বীকার করেন অনেক বিশেষজ্ঞ সঙ্গীতবোদ্ধা।

২০১৩ সালের এই দিনে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান খ্যাতিমান সেই শিল্পী। ২০১৩ সালের ৮ জুন ফুসফুসের জটিলতা দেখা দেয়ায় মান্না দে’কে ব্যাঙ্গালোর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ৯ জুন ভারতসহ পুরো বাংলাদেশজুড়ে তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ডাক্তাররা এই গুজবের অবসান ঘটান। নিশ্চিত করেন যে, মান্না দে বেঁচে আছেন। পরে ২৪ অক্টোবর ব্যাঙ্গালোরের ওই হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়।

প্রয়াত মান্না দে আধুনিক বাংলা গানের জগতে সর্বস্তরের শ্রোতাদের কাছেই ব্যাপক জনপ্রিয় ও সফল সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। পাশাপাশি বাংলা ও হিন্দি সিনেমার গায়ক হিসেবেও অশেষ সুনাম অর্জন করেছিলেন। মোহাম্মদ রাফি ও কিশোর কুমারের মতো তিনিও পঞ্চাশ থেকে সত্তরের দশক পর্যন্ত ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সঙ্গীত জীবনে তিনি সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেন।

মান্না দে’র গাওয়া কালজয়ী গানগুলোর মধ্যে রয়েছে কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, আবার হবে তো দেখা, এই কূলে আমি আর ওই কূলে তুমি, তীর ভাঙা ঢেউ আর নীড় ভাঙা পাখি, যদি কাগজে লেখো নাম, সে আমার ছোট বোন ইত্যাদি। হিন্দিতেও তার অসংখ্য জনপ্রিয় গান রয়েছে।

সঙ্গীত ভুবনে তার অসামান্য অবদানের কথা স্বীকার করে ভারত সরকার ১৯৭১ সালে তাকে ‘পদ্মশ্রী’, ২০০৫ সালে ‘পদ্মবিভূষণ’ এবং ২০০৭ সালে ‘দাদাসাহেব ফালকে সম্মাননা’ প্রদান করে। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে রাজ্যের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘বঙ্গবিভূষণ’ দেয়। এছাড়া একাধিক বার আজীবন সম্মাননা ও ফিল্মফেয়ারসহ অসংখ্য পুরস্কার রয়েছে কিংবদন্তী মান্না দে’র ঝুলিতে।

ঢাকাটাইমস/২৪ অক্টোবর/ এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :