শিক্ষকের বিরুদ্ধে সৎ-মায়ের অভিযোগ

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ২২:১১

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শিক্ষক ছেলের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তার সৎ-মা। এছাড়া সোমবার সৎ-মা আয়েশা বেগম তার ছেলের বিরুদ্ধে মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এসে কান্নাজড়িত কন্ঠে ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষক হলেন উপজেলা সদরের কান্ঠালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ। তিনি উয়ার্শী ইউনিয়নের বন্দ্যে কাউয়ালজানি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মৃত হাছেন আলীর ছেলে।

জানা গেছে, প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর শিক্ষক হাছেন আলী একযুগ আগে আয়েশা বেগমকে বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর চার ছেলে সন্তান থাকলেও দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিঃসন্তান রেখে গত ৯ মাস আগে শিক্ষক হাছেন আলী মারা যান। হাছেন আলীর মৃত্যুর পর প্রথম ঘরের দ্বিতীয় সন্তান শিক্ষক আব্দুল হামিদ পিতার পেনশনের টাকা উত্তোলনের জন্য কৌশলে সাদা কাগজে সৎ-মায়ের স্বাক্ষর নিয়ে ব্যাংকে যৌথ হিসাব খুলেন। পরবর্তীতে ওই টাকা উত্তোলনের জন্য চেক বইয়ের দুটি পাতায় সৎ-মায়ের স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলনের পাঁয়তারা করেন। বিষয়টি সৎ-মা জানার পর ব্যাংকের ম্যানেজার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই স্কুল শিক্ষক সৎ-মায়ের উপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। নির্যাতনের শিকার হয়ে গত দুই মাস আগে আয়েশা বেগম স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যান। আয়েশা বেগম বিভিন্ন সময় বাড়ি ফিরে আসলেও শিক্ষক আব্দুল হামিদ তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্বামী হাছেন আলী মারা যাওয়ার আগে তার নামে থাকা প্রায় তিন একর জমির মধ্য থেকে ৪০ শতাংশ জমি মৌখিকভাবে স্ত্রী আয়েশা বেগমকে দান করেন। কিন্ত ওই জমি শিক্ষক আব্দুল হামিদ দখলে নিয়েছেন। এছাড়া হামিদ তার বসতঘরের তালা ভেঙে মালামালও লুট করে নিয়েছেন বলে জানান।

ছেলের অত্যাচার নির্যাতন থেকে রক্ষা ও স্বামীর ভিটে বাড়ি ফিরে পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়া দুপুরে মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এসে কান্নাজড়িত কন্ঠে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তার উপর নির্যাতনের ঘটনা বিশদ বর্ণনা করেন।

অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক আব্দুল হামিদের সঙ্গে কথা হলে যৌথ ব্যাংক হিসাব ও চেকের পাতায় স্বাক্ষর নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, সৎ-মাকে নির্যাতন করার প্রশ্নই উঠে না। তাছাড়া বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করার আগেই তাদের চার ভাইয়ের নামে জমি লিখে দিয়েছেন বলে তিনি জানান।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মালেকের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :