পরিসংখ্যানে এগিয়ে থেকে দুপুরে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

তুলনামূলক দূর্বল প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকে সামনে পেলেই গর্জে উঠে বাংলাদেশের টাইগাররা। ভারত-পাকিস্তানের কাছে তুলোধুনো হয়ে দেশে ফেরার রাগটা বোধ হয় ক্রেইগ আরভিনদের উপরই তুলছেন তামিম-মুশফিকরা। একমাত্র টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে দারুণ এক জয়ের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (০১ মার্চ) দুপুর ১টায় মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল।
উভয় দলের ওয়ানডে সাক্ষাতে জিম্বাবুয়ের থেকে যোজন যোজন এগিয়ে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এখন অবধি ৭২টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, যেখানে ৪৪টি ম্যাচেই জয় পেয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। বিপরীতে মাত্র ২৮টি ম্যাচ নিজেদের করে নিতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে।
ঘরের মাঠে তো অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ! দেশের মাটিতে খেলা ৪১ ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৩০ ম্যাচে আর জিম্বাবুয়ের জয় ১১টিতে। চমকপ্রদ ব্যাপার, দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ বাংলাদেশ হেরেছে ২০১০ সালে এবং টানা ১৬ ম্যাচ পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙতে পারেনি জিম্বাবুয়ে দল।
জিম্বাবুয়ের মাটিতে অবশ্য এর উল্টো চিত্র! ২৮ ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ১৩ ম্যাচে, জিম্বাবুয়ের ১৫ ম্যাচে।
আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে প্রাণভোমরা সাকিব আল হাসানকে মিস করবে বাংলাদেশ। নিষেধাজ্ঞার দরুন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না থাকা এই অলরাউন্ডার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ও সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলার। ৪৫ ম্যাচে ৪০ গড়ে ব্যাট হাতে ১৪০৪ রান ও ৭৪ উইকেট সাকিবের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭৪ রান ওপেনার তামিম ইকবালের। সর্বশেষ টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করা মুশফিকুর রহিমের রান ১২৮৬, ৪০ গড়ে ৪৬ ম্যাচে এই রান করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
উইকেটশিকারীর তালিকায় সাকিবের পরের অবস্থান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার। ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে থাকা এই পেসার ৪২ ম্যাচে ২২ গড়ে নেন ৬৩ উইকেট। তৃতীয় সর্বাধিক উইকেট আব্দুর রাজ্জাকের, এই স্পিনারের শিকার ৩২ ম্যাচে ৫৬ উইকেট।
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচ যথাক্রমে ১, ৩ ও ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। সবকটি ম্যাচই হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
(ঢাকাটাইমস/০১ মার্চ/এআইএ)

মন্তব্য করুন