শিশু সামিয়া হত্যায় রশিদের ফাঁসির আদেশ
রাজধানীর ওয়ারীতে ছয় বছরের শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে করা মামলার একমাত্র আসামি মো. হারুন অর রশিদের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার ঢাকার ১ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি হারুনকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে এ মামলায় ট্রাইব্যুনাল ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। এরও আগে মামলাটিতে গত ২ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালে আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন।
মামলাটিতে গত ৫ নভেম্বর ডিবির পুলিশ পরিদর্শক ওয়ারী জোনাল টিম (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ আরজুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন কুমিল্লার মেঘনা থানার নলচর গ্রামের মো. নাছির উদ্দিনের ছেলে।
চার্জশিটে বলা হয়, আসামি হারুন অর রশিদ তার আপন খালাত ভাই পারভেজের বাসায় বিগত প্রায় ২ মাস যাবত বসবাস করতো। ভিকটিমের বাসা আর আসামির বসবাস করার ঠিকানা একই জায়গায়। আসামি হারুন তার খালাত ভাইয়ের রংয়ের দোকানে কর্মচারী হিসাবে কাজ করতেন। গত বছরের ৫ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যায় সাড়ে ছয়টার দিকে পারভেজের ছোট ছেলে আরাফের ওষুধ আনার জন্য হারুন বাসা থেকে বের হয়ে ওই ফ্লাটের দরজার সামনে আসলে একই বিল্ডিংয়ের ৬ষ্ঠ তলার ৬/বি নং ফ্লাটের মালিক আবদুস সালামের ৬ বছর বয়সী মেয়েকে দেখেন। সামিয়া মাঝে মধ্যে তার মায়ের সাথে পারভেজের বাসায় আসতো এবং তার ছোট ছেলের সাথে খেলাধুলা করতো। তাই সে হারুনকে চিনত এবং চাচ্চু বলে ডাকত। ওই দিন আরাফ অসুস্থ থাকায় সামিয়া হারুনকে ছাদ দেখানোর জন্য বলে। হারুন তখন সামিয়াকে নিয়ে ওই বিল্ডিংয়ের সিঁড়ি বয়ে ৯ তলায় একটি খালি ফ্লাটে নিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। এরপর শিশু সামিয়ার গলায় শক্ত পাটের রশি দিয়ে পেঁচাইয়া শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর ওই ফ্লাটের রান্নাঘরের সিঙ্কের নিচে গলায় পাটের রশি দিয়ে পেঁচানো ও রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, শিশু সামিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তার বাবা আব্দুস সালাম গত বছর ৬ জুলাই ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। এরপর গত ৭ জুলাই কুমিল্লার ডাবরডাঙা এলাকা থেকে হারুন গ্রেপ্তার হয়। পরদিনই গত ৮ জুলাই হারুন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। সেই থেকে সে কারাগারে রয়েছেন।
ঢাকাটাইমস/৯মার্চ/আরজে/এমআর