মধ্যপ্রদেশে মহাসঙ্কটে কংগ্রেস, সাংসদদের দিল্লিতে সরিয়েছে বিজেপি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ মার্চ ২০২০, ০৯:৫৩
মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা কমলনাথ

ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে মহাসঙ্কটে পড়েছে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকার। এরই মধ্যে কংগ্রেসের প্রভাবশালী সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আরও ২১ সাংসদকে সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন। তারা বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। অপরদিকে কোনো সাংসদকে যেন কংগ্রেস ভাগিয়ে নিতে না পারে এজন্য সব সাংসদকে দিল্লিতে এক জায়গায় রেখেছে বিজেপি।

বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে রয়েছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা শিবরাজ সিং চৌহান। বিজেপি সাংসদদের আপাতত দিল্লি পুলিশের নজরদারিতেই রাখা হয়েছে। বিজেপি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশে কমলনাথ সরকারের আস্থা ভোট পর্যন্ত সাংসদদের দিল্লিতেই নজরবন্দি রাখতে চান মোদি-অমিত শাহরা।

২১ কংগ্রেস সাংসদকে নিয়ে কংগ্রেস ছেড়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। দল ছাড়া ওই কংগ্রেস সাংসদদের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ মন্ত্রিসভার ৬ সদস্যও রয়েছেন। একসঙ্গে ২২ সাংসদ দল ছাড়ায় মধ্যপ্রদেশে গদিচ্যুত হওয়ার মুখে মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ।

মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকারের পতন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। মধ্যপ্রদেশে কমলনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই তার সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা মধুর ছিল না জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার। একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সমালোচনাও করতে দেখা গিয়েছে জ্যোতিরাদিত্যকে। সম্প্রতি শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেন জ্যোতিরাদিত্য।

বিজেপি নেতা ভূপেন্দ্র সিংয়ের দাবি, আরও ৮ কংগ্রেস সাংসদ ইস্তফা দেবেন শীঘ্রই। তারাও যোগ দেবেন বিজেপিতে। তবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত নতুন করে কোনং কংগ্রেস সাংসদ ইস্তফা দেননি।

অন্যদিকে, ভেঙে পড়লেও এখনই মচকাচ্ছেন না কমলনাথ। তার দাবি সময়েই সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেবে তার সরকার। দুঁদে রাজনীতিবিদ কমলনাথকে এতটুকুও হালকাভাবে নিচ্ছে না বিজেপিও। তাই তড়িঘড়ি মধ্যপ্রদেশ থেকে সরানো হয়েছে দলের সাংসদদের। খাস মোদি-শাহদের নাকের ডগায় এনে রাখা হয়েছে দলের সাংসদদের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ মধ্যপ্রদেশের সাংসদদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে।

রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, অমিত শাহের ক্ষুরধার মস্তিষ্কই কমলনাথের কুর্সি টলিয়ে দিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের পতনের নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মস্ত চাল। তাই এখন দিল্লিতে হলেও প্রয়োজনে পরে অন্য কোথাও সরানো হতে পারে মধ্যপ্রদেশ বিজেপি সাংসদদের।

ঢাকা টাইমস/১১মার্চ/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :