মিয়ানমারের সরকারব্যবস্থার পরিবর্তন চান জাতিসংঘের দূত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১১ মার্চ ২০২০, ১৫:৫৫| আপডেট : ১১ মার্চ ২০২০, ১৬:১৭
অ- অ+

মিয়ানমারে চলমান সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তন এনে গণতন্ত্রের চর্চা ও মানবাধিকারে জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং হি লি। একইসঙ্গে তিনি দেশটির সরকার ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে বেসামরিক নেতৃত্বের আওতায় নিয়ে আসারও আহ্বান জানান।

জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে রোহিঙ্গা সংকটের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ আহ্বান জানানো হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত বলেন, ২০১৪ সালে যখন আমি বিশেষ দূতের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম, আমি মনে করেছিলাম ২০২০ সালের মধ্যে মিয়ানমারে অধিকার ও গণতন্ত্রকে সম্মান দেখানো নিশ্চিত হবে। কিন্তু তা হয়নি।

যেখানে রাষ্ট্রের মানবাধিকার সুরক্ষার কথা ছিলো, আমি দেখেছি ক্রমাগত অধিকার লংঘন করা হয়েছে এবং দেশটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে বড় অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিবৃতিতে ইয়াং হি লি বলেন, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমার গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। যে অপরাধীরা মানবাধিকার লংঘন করেছে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ করেছে, তাদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’

‘মিয়ানমার সরকারকেই বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের মাধ্যমে এ দায়িত্ব অবশ্যই নিতে হবে। যেন বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, জবাবদিহিতার বাধাগুলোকে দূর করতে পারে এবং বিচারিক ও তদন্তের দক্ষতা আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী তৈরি করতে পারে।’

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মিয়ানমারের একটি জাতীয় সংলাপের পক্ষে প্রস্তাব দেন জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত। যেখানে সবার অংশগ্রহণে মানবাধিকার এবং চলমান বৈষম্যকে তুলে ধরা হবে- বলেন ইয়াং হি লি।

মিয়ানমারের পুরো সরকার ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে বেসামরিক নেতৃত্বের নিয়ে আসার বিষয়ে জোর দেন লি। একইসঙ্গে ব্যপক সংস্কারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধুনিকায়ন করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে লি মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী ও তাতমাদাও এর মধ্যকার সশস্ত্র সংঘাতের চিত্র তুলে ধরেন। এর পরের বছর আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সংঘাতের বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি। সেই সঙ্গে সংঘাতের পর সেখানে মানবাধিকার লংঘনের বিষয়গুলোও জাতিসংঘের বিশেষ দূতের প্রতিবেদনে উঠে আসে।

জাতিসংঘের মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক দূত লি ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সমস্যা শুরু হওয়ার পর বারবার সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলেও অনুমতি মেলেনি দেশটির। তবে লি রোহিঙ্গা ইস্যুতে দুইবার বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। সফরে তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। কথা বলেছেন নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে। চলতি বছরের এপ্রিলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের দেয়া বিশেষ এই দূতের দায়িত্ব শেষ হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১১মার্চ/এনআই/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গোপালগঞ্জে নিরীহ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মী গ্রেপ্তার না করার আহ্বান বিএনপির
জামায়াতের সমবেশ উপলক্ষে বরাদ্দকৃত ট্রেন পরিচালনায় নিয়ম ভঙ্গ হয়নি : রেলপথ মন্ত্রণালয়
নারায়ণগঞ্জকে আর কোনো গডফাদারের কাছে বর্গা দিতে চাই না: নাহিদ
চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা সেলিম প্রধানের
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা