১৬ শতাংশ বেতন কমেছে সিটি ব্যাংকে, খুশি নন কর্মীরা

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১২ জুন ২০২০, ২০:১২ | প্রকাশিত : ১২ জুন ২০২০, ১৯:৫৭

চলতি জুন থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় ১৬ শতাংশ বেতন-ভাতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড। এর মধ্যে ১০ শতাংশ বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ৬ শতাংশ। আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত কম বেতনেই চলতে হবে এ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। বেতন কমোনার সিদ্ধান্তে খুশি নন ব্যাংকটির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও দেখাচ্ছেন।

ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ৪ হাজার ৫০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা প্রদানে সিটি ব্যাংকের বছরে ব্যয় হয় ৫৪০ কোটি টাকার মতো। চলতি বছরের জুন মাস থেকে বেতন-ভাতা প্রায় ১৬ শতাংশ কমানো হলে বছরে খরচ কমে যাবে ১০০ কোটি টাকা।

ব্যাংকটির বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, ১৬শতাংশ কম বেতন-ভাতা তাদের নিতে হবে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে আরও জানানো হয়েছে, আগামী বছর (২০২১ সালে) সিটি ব্যাংক পারফরমেন্স বোনাস ও ইনক্রিমেন্ট দেবে না।

সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, মুনাফা করার জন্য নয়, চলমান পরিস্থিতিতে লোকসান ঠেকাতে কোনো কর্মীকে ছাঁটাই না করে ১৫ শতাংশের একটু বেশি বেতন-ভাতা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিটি ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টায় সিটি ব্যাংক ২০১৯ সালে ৮৪০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে। ২০২০ সালে মুনাফার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৫০ কোটি টাকা। গত ৫ মাসে ২৩৫ কোটি টাকার মুনাফা হয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে কর পরবর্তী মুনাফার পরিমানও ৯১ কোটি টাকা।

তারা বলেন, প্রতিষ্ঠানের লোকসান হলে কর্মীদের বেতন-ভাতা কমানো ন্যায় সঙ্গত। করোনাভাইরাস পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘১৬ নয় আমরা ১০ শতাংশ বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর পাশাপাশি আগামী বছরের ইনক্রিমেন্ট ও পারফরমেন্স বোনাস না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মানে ১৬ শতাংশ নয়। এটি প্রতিষ্ঠানে লোকসান না করে টিকিয়ে রাখার জন্য করা হয়েছে।’

বেতন কমানোর তিন কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রথম কারণ আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়ে যাওয়া। আমাদের আগে ১০০ টাকা আয় হলে ৫৫ টাকা ব্যয় হতো। এখন এ ব্যয় পরিমাণ ৬৭ টাকায় দাঁড়িয়েছে।’

দ্বিতীয় কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ করা হয়েছে। তবে আমানতের সুদ হার কমেনি। এটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ২০ আয় কমেছে। আর তৃতীয় কারণ হচ্ছে আমানতকারী হোক আর ঋণগ্রহীতা হোক, অনেকেই ব্যাংকে আসছেন না। তাই স্বাভাবিকভাবেই আয় কমে আসছে।’

(ঢাকা টাইমস/ ১২ জুন/ আরএ/এইচএফ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশ: সালমান এফ রহমান

ওয়ালটন ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’: কোরবানি ঈদ উপলক্ষে মেয়াদ বাড়ল আরও ২ মাস    

ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৩৯০তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

সোনালী ব্যাংকের নতুন ডিএমডি হলেন শামিম উদ্দিন

সিটি ব্যাংক ও পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মধ্যে ব্যাংকাসুরেন্স চুক্তি স্বাক্ষর

কার্ডহোল্ডারদের জন্য গ্রীনপিন সেবা চালু করলো এনসিসি ব্যাংক 

অগ্রণী ব্যাংক কর্মচারী সংসদ সিবিএ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু জাফর 

ইসলামী ব্যাংকের কুমিল্লা জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

জনতা ব্যাংকের নতুন ডিএমডি মো. ফয়েজ আলম

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :