সরকারি সহায়তা পেতে ঘুষ না দেয়ায় নারীর হাত ভাঙল মেম্বারের ছেলে!

সরকারি সহায়তা পেতে ঘুষের টাকা না দেয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কল্পনা রানী দাস নামে এক নারীকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের (মেম্বার) ছেলে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর ওই নারী মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমীরপাড়া গ্রামের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা বিমল চন্দ্র দাসের স্ত্রী কল্পনা রানী দাস ওরফে আল্পনা।

কল্পনা রানী অভিযোগে বলেন, তিনি সেখানকার একটি শশ্মানের ভেতরে একটি কক্ষে স্বামী ও চার সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। প্রধানমন্ত্রীর নগদ সহায়তা পাওয়ার আশায় তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য নিজ ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আউয়াল মিয়ার কাছে গিয়ে নাম অন্তর্ভুক্ত করাতে পারেননি।

পরে পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খোরশেদ আলমের কাছে গেলে তিনি নাম দিয়ে দেবেন বলে জানান। বিনিময়ে ৫০০ টাকা চাইলে তিনি দিতে রাজি হন। গত ১০ জুন রাত ৯টার দিকে মজলিশপুর নৌকাঘাটে ডেকে নিয়ে খোরশেদের ছেলে খায়েশ মিয়া তার কাছে ওই ৫০০ টাকা দাবি করেন। তবে সরকারি সহায়তা পাননি উল্লেখ করে টাকা দিতে না চাওয়ায় তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এতে তার ডান হাত ভেঙে যায়।

তবে খোরশেদ আলম মঙ্গলবার বিকালে বলেন, ওই নারী মূলত গোদারা দিয়ে লোক পারাপার করেন। ঘটনার দিন আমার এক ভাই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পার করে দিতে বলি। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় আমার ছেলের সঙ্গে ঝামেলা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আমি ওই নারীর বাসায় গিয়ে সাহায্য করি। বিষয়টি মীমাংসার কথাও বলি। কিন্তু তিনি এখন কিছু লোকের ইন্দনে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/কেএম)