রংপুরে আউশ আবাদের রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ জুন ২০২০, ২২:৩৪

চলতি মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে বিগত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে আউশ আবাদ হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, এ অঞ্চলে এবার আবাদ হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ ৬৩৬৯০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রা ৫৯৬৭৫ হেক্টরের চেয়ে ৪০১৫ হেক্টর বেশি।

জানা গেছে, ২০০০-০১ মৌসুমে এ অঞ্চলে আউশ আবাদ হয়েছিল ২৫৭৩৪ হেক্টর জমিতে। এর পর থেকে ক্রমাগত এর পরিমাণ কমতে থাকে। ২০০৯-১০ সালে সর্বনিম্ন ১২৯৩৮ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়। ওই বছরের তুলনায় এবার আবাদ হয়েছে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। পাশাপাশি বেড়েছে হেক্টর প্রতি গড় ফলনও। ২০১৭-১৮ মৌসুমে হেক্টর প্রতি চাল উৎপাদন হয়েছিল ২.৯৮ মেট্রিকটন, গত ২০১৮-১৯ মৌসুমে তা বেড়ে হয়েছে ৩.০৪ মেট্রিকটন। এ বছর হেক্টর প্রতি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৩.০৭ মেট্রিকটন চাল উৎপাদন হলে রংপুরের পাঁচ জেলা থেকে ১ লক্ষ ৯৫৫২৮ মেট্রিকটন চাল উৎপাদিত হবে। যা মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২৫৯ মেট্রিকটন বেশি।

কৃষি অধিদপ্তর জানায়, ভূগর্ভস্থ পানির অপচয় রোধ করে বৃষ্টির পানিকে কাজে লাগিয়ে আউশ আবাদকে জনপ্রিয়করণে বর্তমান সরকারের নানান পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে আবাদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মে মাস থেকে মধ্য আগস্ট পর্যন্ত পানি সাশ্রয়ী বৃষ্টিনির্ভর আউশ আবাদ করা যায়। বিগত কয়েক বছরে সরকারি প্রণোদনায় বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের আউশ ধানের বীজ ও সার কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা এবং মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ ও নিবিড় মনিটরিং করা হচ্ছে। ফলে সেচ সাশ্রয়ী আউশের আবাদে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। এতে কাঙ্খিত ফলনও পাওয়া গেছে।

চলতি মৌসুমে ২২৫০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে প্রত্যেককে এক বিঘা জমির জন্য পাঁচ কেজি উফশী জাতের আউশ বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ব্রি ও বিনা থেকে ১৯০০ কেজি বীজ সংগ্রহ করে ৩৮০ জন কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, এ অঞ্চলে জমির প্রায় অর্ধেক ‘বোরো-পতিত-রোপা আমন’শস্যবিন্যাসের আওতায় রয়েছে। এই বিন্যাসের মধ্যে আউশ উপযোগী জমিকে আউশভিত্তিক তিন ফসলি জমিতে নিয়ে আসার কাজ চলছে মাঠ পর্যায়ে। উপজেলা এবং ব্লক পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিয়মিত মাঠ পরিদর্শনের মাধ্যমে আউশ আবাদে বিশেষ কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে। এছাড়া কৃষকদের জমি তৈরিতে জৈব সার ও সুষম মাত্রায় রাসায়নিক সার প্রয়োগ, মানসম্পন্ন আধুনিক জাতের বীজ ব্যবহার করে আদর্শ বীজতলায় চারা উৎপাদন, সঠিক বয়সের চারা সারিতে ও সঠিক দূরত্বে রোপন, চারা রোপনে লোগোবো পদ্ধতির অনুসরণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের সঙ্গে সব বিষয়ে সহযোগীতায় সংযোগ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকাটাইমস/২৬জুন/জেআর/পিএল

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :