ফাহিমকে খুন করেন ব্যক্তিগত সহকারী টেরেস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২০, ২৩:২৭ | প্রকাশিত : ১৭ জুলাই ২০২০, ২৩:২০

মোবাইল অ্যাপভিত্তিক রাইড সেবাদাতা পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফাহিম সালেহ যুক্তরাষ্ট্রে নিজের বাসায় খুন হওয়ার ঘটনায় তার ব্যক্তিগত সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম টেরেস ডেভোন হাসপিন (২১)। পুলিশের ধারণা, প্রায় ১ লাখ ডলার চুরি করে ধরা পড়ার পর ফাহিমকে কেটে টুকরো করেন টেরেস।

যুক্তরাষ্টের আইন-শৃংখলাবাহিনীর বরাত দিয়ে শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস, ফোর্বস ও সিএনএন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে টেরেসকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ আনা হবে। এ বিষয়ে নিউ ইয়র্ক পুলিশের সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানোর কথা রয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, ফাহিম সালেহ যখন জানতে পারেন তার চিফ অব স্টাফ টেরেস ১ লাখ ডলার আত্মসাৎ করেছে, তখন তাকে ওই টাকার জন্য চাপ দেন। পরে টেরেস টাকা ফেরৎ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এর জেরেই ফাহিম সালেহ খুন হন বলে নিউইয়র্ক পুলিশের ধারণা।

এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটনে নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ফাহিমের খণ্ডবিখণ্ড লাশ উদ্ধার করা হয়। গত বছর সাড়ে ২২ লাখ ডলারে ম্যানহাটানের লোয়ার ইস্ট সাইডে সাফোক স্ট্রিটের ইস্ট হিউস্টন স্ট্রিটের ওপর কন্ডোটি (বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট) কেনেন তিনি।

ফাহিমকে হত্যার ঘটনায় বিশ্ব মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ইতোমধ্যেই তিনি পশ্চিমা মিডিয়ায় টেক জায়ান্ট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই নিজের প্রযুক্তি প্রতিভার প্রমাণ দেন এ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ৩৩ বছর বয়সী ফাহিম চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের হরিসপুরের আইবিএমের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সালেহ আহমেদের ছেলে।

আগের দিন থেকে ভাইকে ফোনে না পেয়ে তার ছোট বোন মঙ্গলবার ভবনটির সপ্তম তলায় ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, শরীর থেকে মাথা, হাত ও পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ফাহিমের লাশ পড়ে আছে এবং শরীরের একটা অংশ পাশের একটি প্লাস্টিক ব্যাগে ভরা। পাশেই পড়ে আছে একটি ইলেকট্রিক করাত।

গোয়েন্দারা জানান, ফাহিমের কাছ থেকে কয়েক হাজার ডলার চুরি করেন টেরেস। বিষয়টি জানার পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি ফাহিম। উল্টো মনস্থির করেছিলেন যে, ডলার ফেরত পাওয়ার পর সেখান থেকে তাকে (টেরেস) একটা অংশ দেবেন।

নিউ ইয়র্ক বলছে, লাশ উদ্ধারের আগের দিন সোমবার ফাহিমকে খুন করা হয়। এরপর খুনী হত্যার আলামত মুছে ফেলতে তার মালিকের (ফাহিম) ক্রেডিটকার্ড ব্যবহার করে ২৩ ম্যানহাটন স্ট্রিট থেকে ফ্লোর ও ঘর পরিষ্কারের সামগ্রী কেনেন। পরেরদিন লাশটি খণ্ডবিখণ্ড করতে সে আবার ওই অ্যাপার্টমেন্ট যায়।

গোয়েন্দারা জানান, হত্যাকারী কালো রঙের স্যুট, কালো মাস্ক পরে এসেছিলেন। হাতে ছিল একটি ব্যাগ। সে ফাহিমের পেছন পেছন ওই অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকেছিল।

পুলিশ আরও জানায়, হত্যাকারী ফাহিমের শরীর টুকরো টুকরো করে ব্যাগে ভরার সময় তার বোন ওই অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করেন। বিষয়টি টের পেয়ে এরপর সে অ্যাপার্টেন্টের পেছনের দরজা ও সিঁড়ি দিয়ে পালিয়ে যায়।

ফাহিম সালেহর জন্ম ১৯৮৬ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে পড়াশোনা করতেন ফাহিম। নাইজেরিয়া আর কলম্বিয়াতে তার দুটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কোম্পানি রয়েছে। পেশায় ওয়েবসাইট ডেভেলপার ফাহিম অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটাল গ্লোবাল নামক একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানেরও উদ্যোক্তা ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ হত্যাকাণ্ডে আরও ১ জন গ্রেপ্তার

আগামী বছরই অবসর নেবেন মোদি, প্রধানমন্ত্রী হবেন অমিত শাহ: বিস্ফোরক দাবি কেজরিওয়ালের 

৩ লাখ ফিলিস্তিনিকে পূর্ব রাফাহ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে: ইসরায়েল

রাফাহ শহর ও সীমান্ত কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

ব্রাজিলের বন্যা বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৭

পৃথিবীতে শক্তিশালী সৌরঝড়ের আঘাত, ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের শঙ্কা

ফের রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হলেন মিখাইল মিশুস্টিন

ইসরায়েল সম্ভবত গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: যুক্তরাষ্ট্র

ভারী বৃষ্টিপাতে আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যা, নিহত অন্তত ৬০

বিশ্ব ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে: মাহমুদ আব্বাস

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :