পূজামণ্ডপে কোরআন রাখেন ইকবাল: পুলিশ

কুমিল্লা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২১, ১৭:২৪ | প্রকাশিত : ২০ অক্টোবর ২০২১, ২০:০১

কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ে পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখায় প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে এক যুবককে শনাক্ত করা হয়েছে। তার নাম ইকবাল হোসেন (৩০)। তাকে গ্রেপ্তারে গত কয়েকদিন ধরে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। এছাড়া ইকবালের সহযোগী হিসেবে অন্তত চারজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ প্রধান অপরাধী শনাক্ত করার বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়া যায়। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ, প্রতিবাদ মিছিল হয়। এসব কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

যেখান থেকে সাম্প্রদায়িক এই সহিংসতার শুরু সেই নানুয়ার দিঘির পাড়ের মণ্ডপে কীভাবে উত্তেজনার শুরু এবং মূল মণ্ডপের বাইরে পূজার থিম হিসেবে রাখা হনুমানের মূর্তির ওপর পবিত্র কোরআন শরিফ কী করে এলো এ নিয়ে সর্বত্র আলোচনা চলছে।

এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘটনার আগের রাত আড়াইটা পর্যন্ত মন্দিরে পূজাসংশ্লিষ্টদের উপস্থিতি ছিল। এরপর বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দুজন নারী ভক্ত মণ্ডপে এসে হনুমানের মূর্তিতে প্রথম কোরআন শরিফটি দেখতে পান।

রাত আড়াইটা থেকে ভোর সাড়ে ৬টার মধ্যে কোনো এক সময়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি কোরআন শরিফটি রেখে যান মণ্ডপে। এ সময় হনুমানের হাতের গদাটি সরিয়ে নেন তিনি। গদা হাতে তার চলে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে ওই এলাকারই কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরায়।

এ ধরনেরই একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এরইমধ্যে প্রকাশ হয়েছে। এতে দেখা যায়, কোরআন শরিফটি রাখার পর হনুমানের মূতির গদা কাঁধে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন প্রধান অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে সময়টি রাত তখন প্রায় ৩টা।

গদা কাঁধে নিয়ে হেঁটে যাওয়া ইকবাল হোসেন কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে দ্বিতীয় মুরাদপুর-লস্করপুকুর এলাকার নূর আহম্মদ আলমের ছেলে। নূর আলম পেশায় মাছ ব্যবসায়ী।

ইকবালের মা আমেনা বেগম জানান, তার তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে ইকবাল সবার বড়। তিনি জানান, ইকবাল ১৫ বছর বয়স থেকেই নেশা করা শুরু করে। ১০ বছর আগে সে জেলার বরুড়া উপজেলায় বিয়ে করে। ওই ঘরে তার এক ছেলে রয়েছে, পাঁচ বছর আগে ইকবালের বিয়েবিচ্ছেদ হয়।

তারপর ইকবাল চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়া বাজার এলাকার কাদৈর গ্রামে আরেকটি বিয়ে করেন। এ সংসারে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

আমেনা বেগম বলেন, ‘ইকবাল নেশা করে পরিবারের সদস্যদের উপর অত্যাচার করতো। বিভিন্ন সময় রাস্তাঘাটেও নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘুরে বেড়াত।’

ইকবাল মাজারে মাজারে থাকতে ভালোবাসত জানিয়ে তার মা বলেন, ‘সে বিভিন্ন সময় আখাউড়া মাজারে যেত। কুমিল্লার বিভিন্ন মাজারেও তার যাতায়াত ছিল।’

(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

মৌলভীবাজারে র‍্যাবের অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ ব্রিটিশ নাগরিক গ্রেপ্তার

চোখের সামনে দেবে গেল চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ

রেমালে বিধ্বস্ত কুয়াকাটার কলাপাড়া, উপকূলে মানুষের আহাজারি 

লক্ষ্মীপুরে রেমালের তাণ্ডবে বসতঘর চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যু

এবারও ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব থেকে সাতক্ষীরাকে বাঁচালো সুন্দরবন

রাঙ্গাবালীতে রেমালের হানায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, একজনের মৃত্যু

খুলনায় পাউবোর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে পানি

লক্ষ্মীপুরে রেমালের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি ও গাছপালা

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব, বোনকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল ভাইয়ের

ছিনতাইকারীদের উপদ্রব ঠেকাতে সড়কের ঝোপ পরিষ্কারে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :