শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরতে পারে, মত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হারের নিম্নমুখিতা ও বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই টিকার আওতায় চলে আসায় তারা ক্লাসে ফিরে যেতে পারে বলে মত দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে জানিয়েছে সংস্থাটি।
রবিবার দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
ডা. নাজমুল বলেন, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষার্থী আছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের একটি বড় অংশই টিকা নিয়েছে। সব পরিস্থিতি যদি আমাদের অনুকূলে থাকে তাহলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যেতেই পারেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, আমরা করোনার সঙ্গে গত দুই বছর যাবত অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করছি। সতর্কতার সর্বোচ্চ পর্যায়টি যদি আমরা অবলম্বন করতে পারি, তাহলে মৃত্যু ও সংক্রমণ অবশ্যই কমে আসতে বাধ্য হবে।
এই চিকিৎসক বলেন, দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তবে আমরা দেখছি যে সংক্রমণের হার নিন্মমুখী হয়েছে। আমরা টিকা কার্যক্রম সফলভাবে চালিয়ে যাচ্ছি, যে কারণে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা কমে এসেছে এবং হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যাও কমে এসেছে। মানুষজন করোনার উপসর্গ নিয়ে নিজ বাসগৃহে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। এমনকি কোয়ারেন্টাইনসংক্রান্ত সমস্ত বিধি-নিষেধ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বই কার্যকর রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সংক্রমণের হার ছিল ২১ দশমিক ৫০ শতাংশ। সপ্তাহের শেষে ১২ ফেব্রুয়ারি এ হার এসে দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ এক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিম্নমুখী রয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি নতুন রোগী শনাক্তের হার যেখানে আট হাজার ৩৪৫ জন ছিল, সেটি ১২ ফেব্রুয়ারি কমে পাঁচ হাজার ২৩ জন হয়েছে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, অমর একুশে বইমেলা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে। এ মেলায় যারা অংশগ্রহণ করবেন, যেসব প্রকাশক আছেন, স্টলে যেসব কর্মচারী কাজ করবেন তারা টিকার সনদটি সঙ্গে রাখবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলায় আসবেন।
টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভাসমান মানুষদের টিকা আমরা রাজধানী দিয়ে শুরু করেছি, এখন একটি গোটা দেশেই ছড়িয়ে দেওয়া হবে। তবে সারাদেশে কবে শুরু করা সম্ভব হবে সেটির নির্ধারিত তারিখ দিয়ে আমরা শুরু করতে পারবো না। যেহেতু তারা নির্দিষ্ট কোনো একটি স্থানে বসবাস করে না, সেহেতু তাদের একত্র করে টিকা দেওয়া খুবই চ্যালেঞ্জিং।
(ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/বিইউ/জেবি)

মন্তব্য করুন