যেসব অভ্যাসে বাড়ে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি
চারজন প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে একজন ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। ‘ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন’ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌথ সমীক্ষা অন্তত তেমনটাই বলছে। শুধু বয়স্করা নন, এখন কম বয়সীদের মধ্যেও ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। মূলত অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণেই এমনটা হয়। প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস এই বিপদ ডেকে আনতে পারে। যেমন-
১। বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার প্রবণতা ডেকে আনতে পারে ব্রেন স্ট্রোকের মতো ঝুঁকি। প্যাকেটজাত চিপস্, বিভিন্ন ধরনের কুকিজে লবণের পরিমাণ বেশি। এই বাড়তি লবণ স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে ক্রমশ।
২। ‘দ্য ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, নিয়মিত মদ্যপানের অভ্যাস ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই সুস্থ থাকতে মদ্যপান থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
৩। ভিটামিন সি’র পরিমাণ শরীরে কমে গেলেও এমন ব্রেন স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেকটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে হ্যামোরেজিক স্ট্রোক ডেকে আনে এই ভিটামিনের ঘাটতি।
৪। ব্যথানাশক ওষুধ খেলে ব্রেন স্ট্রোক তো বটেই, সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও থাকে। তাই প্রতি মুহূর্তে পেইনকিলার জাতীয় ওষুধ খাবেন না।
ব্রেন স্ট্রোক আসলে কী?
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের মতো বিভিন্ন ক্রনিক সমস্যা মস্তিষ্কের রক্তবাহী ধমনীর পথ আটকে দেয়। এদিকে রক্তের মধ্যে ভেসে বেড়ানো চর্বি আচমকা ধমনীতে আটকে গিয়ে রক্ত চলাচল বন্ধ করে দিতে পারে। ফলে মস্তিষ্কের কোষ অক্সিজেনের অভাবে নিস্তেজ হতে হতে অকেজো হয়ে যায়। তাকেই বলা হয় স্ট্রোক।
সাধারণত দুই ধরনের স্ট্রোক হয়। ইসকিমিক আর হেমারেজিক। ইসকিমিক স্ট্রোকে রক্ত চলাচল থেমে যায় আর হেমারেজিক স্ট্রোকে দুর্বল রক্তনালী ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হয়। এছাড়া আছে ‘ট্র্যান্সিয়েন্ট ইসকিমিক অ্যাটাক’ বা টিআইএ। অল্প পরিমাণ রক্ত মস্তিষ্কের রক্তবাহী ধমনীতে সাময়িক ভাবে আটকে গেলে কিছুক্ষণের জন্য রোগীর অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। আপাত দৃষ্টিতে মারাত্মক না হলেও টিআইএর পরে বড় অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে।
কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
আচমকা শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা। নিজের উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকা। চোখের সামনে হঠাৎ এক চোখে বা দুই চোখেই দৃষ্টি হারিয়ে ফেলা। মুখের এক দিক বেঁকে যাওয়া। কথা বলতে গিয়ে কথা জড়িয়ে যাওয়া। বাহুতে ব্যথা হওয়া।
(ঢাকাটাইমস/২৮অক্টোবর/এজে)