তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ আন্দোলন দমনের চক্রান্ত: জেডআরএফ

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তে আদালতের রায়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।

রবিবার এক বিবৃতিতে ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার এ নিন্দা জানান।

ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, গোটা দেশের মানুষ যখন সরকার পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষুব্ধ, তখন কথিত দুর্নীতির মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর সম্পদ বাজেয়াপ্তের আদেশ জনদৃষ্টি ভিন্নখাতে নেওয়ার অপচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়। কারণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশবাসী এখন ঐক্যবব্ধ। মূলত এই আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করা এবং নিজেদের পতন টের পেয়ে সরকার আদালতের মাধ্যমে এ আদেশ প্রদান করিয়েছে।

তিনি বলেন, এখান থেকেই প্রমাণিত হয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিরোধী মতকে দমনের মাধ্যমে আবারো একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। এই লক্ষ্য পূরণ এবং বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করতেই তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ফরমায়েশি আদেশ প্রদান করা হয়েছে। অথচ সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ওয়ান ইলেভেনের সেনাসমর্থিত সরকারের আমলে তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো মামলা করা হয়েছিল। সেই মিথ্যা মামলায় সম্পদ বাজেয়াপ্তের আদেশ সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। কারণ তারা জানে যে, এমন সময় এই আদেশ দেওয়া হলো যখন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ ফুঁসে উঠেছে। এই মুহুর্তে এ ধরণের আদেশ সাধারণ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। পাশাপাশি বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থার সঙ্কটও তৈরি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির মতো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা, মিথ্যা মামলা অব্যাহত রেখেছে সরকার। এখন জাতীয়তাবাদের কান্ডারি তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় রায় ও সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

শুধু তাই নয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকেও মিথ্যা মামলায় কারাগারে নিয়েছে এই সরকার। অথচ তারেক রহমান জেডআরএফের মাধ্যমে দেশের গরিব মানুষের ভাগ্য বদলের লক্ষ্যে নানামুখী কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। অন্যদিকে ডা. জোবাইদা রহমান জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ শুধু নন, তিনি এদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী বর্ণাঢ্য পরিবারের সন্তান। তার পিতা রিয়ার অ্যাডমিরাল মরহুম মাহবুব আলী খান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান এবং সাবেক মন্ত্রী। তিনি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নন। সুতরাং তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা অবান্তর এবং ভিত্তিহীন।

প্রসঙ্গত, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আসাদুজ্জামান বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক যুগের বেশি সময় ধরে পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে তাদের নেতা তারেক রহমানকে ‘মিথ্যা’ মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/০৮জানুয়ারি/জেবি/এসএম)