ইবি ছাত্রী নির্যাতন: বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাইলেন ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরা

ইবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ২৩:১০ | প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ২০:৫৯

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফুলপরী খাতুন নামে নবীন শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন অভিযুক্ত পাঁচজন। এদিকে তা প্রত্যাহার চেয়েছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা।

একইসঙ্গে সকল একাডেমিক কার্যক্রম অংশগ্রহণ ও স্থগিত হওয়া ফলাফল প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসানের কাছে এ সংক্রান্ত একটি আবেদন জমা দেন অভিযুক্ত ওই ছাত্রী।

আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি বর্তমানে শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত। অনলাইন ক্লাস চলমান। আপনার (রেজিস্ট্রার) দপ্তর থেকে আমাকে দুই দফায় যে কারণদর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে সেখানে সুনির্দিষ্ট কোনও অপরাধ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনির্দিষ্ট কোনও ধারা উল্লেখ করা হয়নি। আমি দৃঢ় চিত্তে বলতে পারি, আমি ওই র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় কোনোভাবেই অংশ নেইনি। এছাড়া তিনি আবেদনে তিনি সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, ক্লাস ও পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি ও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের অনুরোধ করেন।

ফল স্থগিত হওয়া পরীক্ষা কমিটির সভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন বলেন, ফল স্থগিতের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভালো জানে। বিভাগ রেজাল্ট সাবমিট করার সময় কর্তৃপক্ষকে চিঠিতে দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় তাকে (অন্তরা) সাময়িক বহিষ্কার করেছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, আবেদনটি পেয়ে একাডেমিক শাখায় পাঠিয়েছি। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রশাসকের অফিসে মতামত চেয়ে পাঠানো হবে। তার মতামত নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রবিউল ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী যাবতীয় শিক্ষা কার্যক্রম থেকে তাকে (অন্তরা) অব্যহতি দেওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। কখন পরীক্ষা হয়েছে সেটা মুখ্য বিষয় নয়।

১২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে এক ছাত্রীকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা সেদিন তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন, ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটি তদন্ত করছে। তিন কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন নির্যাতনের সত্যতা মিলেছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :