শেরপুরে মহাসড়কের ড্রেন দখল করে বাড়ি নির্মাণ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩১ জুলাই ২০২৩, ১৪:০৪

বগুড়ার শেরপুরে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরুয়া থেকে ধুনটমোড়ের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পানি নিষ্কাসনের জন্য নির্মিত ড্রেনের ওপর ঢালাই দিয়ে স্থায়ীভাবে দখল করে বাড়ির সিড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। আইনের তোয়াক্কা না করে মহাসড়কের জায়গা দখল করেই বাড়ি-ঘর নির্মাণ করায় জনসাধারণ নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অবৈধভাবে দখল করার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার ওপর পানি জমে জলাবদ্ধতায় সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে জনসাধারণ চলাচল করতে পারছেনা।

মহাসড়ক আইন-২০২১- বিধান অনুযায়ী, মহাসড়কের উভয়পার্শ্বে ১০ মিটারের মধ্যে হাট-বাজার কিংবা অন্য কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। এছাড়া ময়লা-আবর্জনা বা অন্য কোনো বস্তু ফেলা যাবে না। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া মহাসড়কের সঙ্গে কোনো সংযোগ সড়কও নির্মাণ করা যাবে না। এ আইন লঙ্ঘন করলে আর্থিক জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়করে হামছায়াপুর, শেরুয়া বটতলা, কাঠালতোলা, ধুনট মোড়ের বিভিন্নস্থানে রাস্তার কাজ শেষ না হতেই ১০ মিটার ছাড়া তো দূরের কথা ড্রেন দখল করে বাড়ির সিড়ি নির্মাণ ও রাস্তার ওপর নির্মাণ সামগ্রী রেখে রাস্তার প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। এতে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার তৈরিসহ পথচারীরা চলাচল করতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। এছাড়াও ফুটপাত ব্যবহারকারী পথচারীর ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। রাস্তার কাজ শেষ না হতেই, এ যেন দখলের মহাৎসবে মেতে উঠেছে অবৈধ দখলকারীরা। সচেতন মহলরা বলছেন, অতি দ্রুত এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দিন দিন এদের সংখ্যা বেড়েই চলবে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ অতি জরুরি।

এ ছাড়াও উপজেলার মহিপুর, বাসষ্ট্যান্ড, ধুনট মোড়, শেরুয়া বটতলা, মির্জাপুর বাজার, ছোনকা, সিমাবাড়ীসহ প্রতিটি বাজার ও জনসমাগম এলাকায় ফুটপাত ও ড্রেন দখল করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কোথাও কোথাও প্রভাবশালীরা এই সকল দখলকৃত জায়গায় দোকান বসিয়ে মাসিক ভাড়া আদায় করছে।

স্থানীয় জনসাধারণের দাবি এখনই এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না গেলে দিন দিন এই দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। ফলে মহাসড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচলকারীদের অনেককেই বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে হবে।

উল্লেখ্য, এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত ২ লেনের মহাসড়ককে ৪ লেনের প্রশস্ত মহাসড়কে উন্নীত করা হচ্ছে। সাসেক ২ প্রকল্পের আওতায় আধুনিক মানের ৪ লেনের মহাসড়কে থাকছে ৪টি ফ্লাইওভার, ২টি রেলওয়ে ওভার ব্রিজ, ৩৯টি আন্ডারপাসসহ ধীরগতির পরিবহনের জন্য থাকছে আলাদা লিংক রোড। এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এশিয়ান হাইওয়ে সঙ্গে সংযুক্ত হবে এই মহাসড়কটি। সে সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ার পাশাপাশি গতিশীল হবে উত্তরাঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন।

বগুড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা সুলতানা বলেন, ফুটপাত দখল করে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :