গাজীপুরে যেভাবে বিস্ফোরণে উড়ে গেল পুলিশের হাত, যা জানা যাচ্ছে…
তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গাজীপুরের নাওজোড় এলাকায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত তিন পুলিশ সদস্যকে নেওয়া হয়েছে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। আহত তিন পুলিশ সদস্য হলেন- কনস্টেবল ফুয়াদ হাসান (৩০), নায়েক মোরশেদ খান (৩০) ও এসআই প্রবীর (৪৫)।
বিস্ফোরণে ফুয়াদ হাসানের ডান হাতের কব্জি উড়ে গেছে। তার মুখমণ্ডলও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ঢামেকের জরুরি বিভাগে দেখা গেছে। এছাড়া মোর্শেদের পিঠ, পা, দুই হাত এবং প্রবীরের মাথায় ও থুতনিতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এদিন ঢামেক হাসপাতাল ঘুরে গাজীপুর থেকে আসা একাধিক পুলিশ সদস্যের কাছে ঘটনার বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাড়িতে রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড রাখা ছিল। অসাবধানতাবশত সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে এ ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। বাকি দুজনের গাজীপুরে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এই তিনজনের মধ্যে কনস্টেবল ফুয়াদের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বাকি দুজনের মধ্যে একজন মুখে আঘাত পেয়েছেন। আরেকজনের মাথায় আঘাত পাওয়ায় তাকে রাজধানীর শ্যামলী নিউরোসাইন্সে পাঠানো হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) মাসুদ মিয়া জানান, গাজীপুর থেকে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ফুয়াদের অবস্থা বেশি গুরুতর। তার মুখমণ্ডলের পাশাপাশি ডান হাতের কবজিও ক্ষতবিক্ষত। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, পুলিশ সদস্য মোর্শেদ খান ও ফুয়াদ জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের শরীরে আগে থেকে ব্যান্ডেজ ছিল। ব্যান্ডেজ খুলে তাদের ক্ষত জায়গা দেখা হচ্ছে। তাদের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়া অপর পুলিশ সদস্য প্রবীরকে নিউরোসার্জারি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো নাওজোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
(ঢাকাটাইমস/০৮নভেম্বর/এলএম/কেএম)