ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ হতে পারে ‘মিধিলি’র চেয়ে শক্তিশালী

মিধিলির রেশ কাটতে না কাটতেই ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ এর আভাস পাওয়া গেল। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড়টি। নভেম্বরের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড়টির জন্ম হতে পারে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এবং ‘মিধিলি’র চেয়ে শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। তাই তীব্র নজর রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নিয়েছে সরকার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘চলতি বছরে বঙ্গোসাগরে চতুর্থ ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড় সাম্প্রতিক অন্যান্য ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে শক্তিশালী হতে পারে।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) পরিচালক (প্রশাসন) আহমাদুল হক ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমরা গভীর মনোযোগ রাখছি। চলতি নভেম্বর মাসের ২৬ তারিখে হয়তো এটি লঘুচাপ হিসেবে তৈরি হবে। লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপ এবং গভীর নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এখন পর্যন্ত যে ধরনের নিদর্শন দেখা যাচ্ছে যদি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় তবে এটি বেশ শক্তিশালী হবে । বিভিন্ন মডেলও বলছে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তাই মাঠ পর্যায়েও মোটামুটি প্রস্তুতি রয়েছে।’
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী রবিবার দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক ঢাকা টাইমসকে বলেন, সমুদ্রে যখন লঘুচাপ তৈরি হয় সেখানে তাপমাত্রা বেশি থাকে। ফলে সমতলেও শীতের অনুভূতি বোঝা যায় না। লঘুচাপ শেষ হলেই রাতের তাপমাত্রা কমতে থাকবে। আগামী রবিবার দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপ সৃষ্টি হলে পরবর্তী সময়ে এটি আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে সুস্পষ্ট লঘুচাপের পর নিম্নচাপ হতে পারে। কারণ অক্টোবর ও নভেম্বর হলো সাইক্লোন পিরিয়ড (ঘূর্ণিঝড় মৌসুম)। তাই সাইক্লোন হতেও পারে।’
নাজমুল হক বলেন, নভেম্বরের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হতে পারে। সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হলে এর নাম মিচাহং হলেও মিয়ানমারের প্রস্তাবে এর নাম উচ্চারণ করতে হবে ‘মিগজাউম’। ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হলে ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত ও মিয়ানমারও পড়বে এর কবলে। তবে এখনও ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি না হওয়ায় সুষ্পষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না কোন উপকূলীয় এলাকায় এটি আঘাত হানতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি নভেম্বরের ২৯ বা ৩০ তারিখের দিকে জন্ম নিতে পারে। তবে এখনও যেহেতু সৃষ্টি হয়নি। তাই কোন উপকূলীয় এলাকায় এটি আঘাত হানতে পারে, এটা বলা যাচ্ছে না।’
(ঢাকাটাইমস/২৪নভেম্বর/টিএ/কেএম)

মন্তব্য করুন