চুয়াডাঙ্গায় ক্লিনিকে মিলল আয়ার গলাকাটা মরদেহ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় মা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগন্টিক সেন্টার থেকে হাফিজা খাতুন নামের এক আয়ার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে ক্লিনিকের আয়া বিউটি খাতুন জানান, আমি ও নিহত হাফিজা দুজন প্রতিদিনের মতো একসঙ্গেই ছিলাম। সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুজন রুটি খেয়ে আমি তিন তলায় ও হাফিজা দ্বিতীয় তলায় থেকে যায়। তারপর সাড়ে ৮টার দিকে নিচ তলায় এসে হাফিজাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। আমি চিৎকার করলে ক্লিনিকে অন্য সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিউটি আরও জানান, আজ সকালে হাফিজার স্বামী কবির হোসেন আর হাফিজাকে ঝগড়া করতে দেখি। আমরা ধারণা করছি সেই ঝগড়ার জের ধরেই হয়তো এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাগবির হাসান বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ (পিপিএম-সেবা) বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শক করে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/এআর)