নরসিংদীতে শসা চাষে সফল কৃষক জাকির

নরসিংদী প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২১

গতানুগতিক চাষাবাদ থেকে বেরিয়ে এসে আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলক শসা চাষ করে প্রথমবারেই সফলতা পেয়েছেন নরসিংদীর কৃষক জাকির খান।

কৃষি বিভাগ বলছেন, আধুনিক চাষাবাদের নিয়মনীতি মেনে ফসল বপন করা হলে কৃষকরা অল্প জমিতে বেশি লাভবান হতে পারেন।

কৃষি নির্ভর দেশে যুগ যুগ ধরেই কৃষকরা খাদ্যশস্য চাষাবাদ করে আসছেন। কৃষকদের প্রাচীনকালের গতানুগতিক চাষাবাদের পরিবর্তন নিয়ে কাজ করে আসছে কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগের উদ্ভাবিত আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের ফলে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

কৃষক জাকির খানের বাড়ি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চর নগরদি গ্রামে।

বেশ কয়েক বছর ধরে বাবা দাদার পেশা কলা, পেঁপে, ধান সবজিসহ অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করে আসছেন তিনি। এবার পরীক্ষামূলকভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করেছেন শসা। আর প্রথমবারেই সফলতার মুখ দেখেছেন তিনি। বাড়ির পাশে মাত্র ২০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন উন্নত মানের শসা। থেকে এখন দৈনিক দেড়শ কেজি শসা উত্তোলন করতে পারছেন তিনি। বিষমুক্ত শসা খেতে সুস্বাদু হওয়ায় স্থানীয় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা বাড়ি থেকে ভালো দাম দিয়েই তার উৎপাদিত শসা নিয়ে যাচ্ছেন। উপযুক্ত সময়ে বপন করে নিয়ম মেনে পরিচর্যা করায় দামও পাচ্ছেন ভালো। এবার ভালো দাম পাওয়ায় ভবিষ্যতে আরও বেশি করে চাষাবাদের লক্ষ্য তার।

কৃষক জাকির খান জানান, ‘আমি একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। পাশাপাশি বাবা খোরশেদ খানের গড়া কৃষি জমি দেখাশোনা করি। এরই অংশ হিসেবে এই শসা জমিতে সময় দিয়েছি। এবারের ফলনে লাভবান হয়েছি। আগামীতে আরও বেশি জমিতে শসা চাষের আগ্রহ আছে।

জাকির খানের বাবা খোরশেদ খান জানান, ‘আমরা একজন প্রান্তিক চাষি। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এবার প্রথমবারের মতো শসা চাষে ভালো ফলন হওয়ায় লাভবান হয়েছি। চরনগরদী বাজারে আমার একটি দোকান থাকায় ছেলে জাকিরই বেশি দেখাশোনা করে থাকে। জমিতে ফেরোমিন ফাঁদ ব্যবহার করায় বিষ দিতে হচ্ছেনা। যার ফলে নিরাপদ খাদ্য হিসেবে এই শসা সকলেরই পছন্দের।

ক্রেতা হৃদয় দাস জানান, ‘দৈনিক বাজারের অংশ হিসেবে সবজির সঙ্গে শসা একটি বিশেষ প্রয়োজনীয়। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শসাকেই বেছে নিই। আর আমরা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শসা ক্রয় করলে এলাকার কৃষকরা উৎসাহিত হয়।

স্থানীয় চরনগরদী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী কবির হোসেন জানান, ‘স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এই শসা বিষমুক্ত হওয়ায় এর চাহিদাও বেশি, তাই সাধারণ মানুষও দশ টাকা বেশি দরেই নিয়ে যাচ্ছেন।

শসা খেতের শ্রমিক ফারুক মিয়া জানান, উন্নতমানের একটি কৃষি খামারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে প্রথমবারের মতো এই শসা চাষে সফলতা পাওয়া গেছে। আগামীতে আরও বেশি করে চাষের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

পলাশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার জানান, কৃষকরা গতানুগতিক চাষাবাদ থেকে বেরিয়ে আধুনিক পদ্ধতির নিয়ম মেনে চাষাবাদ করলে অল্প জমিতেও চাষাবাদ করে বেশি ফলনে লাভবান হতে পারেন। তাই সকল কৃষককে কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের আহ্বান জানান এই কর্মকর্তা।

কৃষিখাতে গতানুগতিক চাষাবাদ থেকে বেরিয়ে এসে কৃষি বিভাগের পরামর্শে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে দেশের খাদ্যশস্য নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হবে এমন আশা সচেতন মহলের।

(ঢাকাটাইমস/০১ এপ্রিল/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সারাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :