মানিকগঞ্জে ডাকাতদলের সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৫

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় আন্ত:জেলা ডাকাতদলের সদস্যসহ পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির লুণ্ঠিত স্বর্ণ বিক্রির নগদ টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ওয়াইজনগর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস (৫০), মো. আরমান (৩৫), একই উপজেলার ছয়ানী গ্রামের মো. মিজান (২৫), চর মাধবপুর গ্রামের সোহাগ (২৫) ও একই গ্রামের মো. মনির হোসেন (৩৭)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের কমলনগর গ্রামের সৌদি প্রবাসী উজ্জ্বল সন্ন্যাসীর বাড়িতে গত ২৮ মার্চ রাত পৌনে দুইটার দিকে চারজন দুষ্কৃতকারী পরস্পর যোগসাজশে চেতনানাশক ওষুধ খাবার খাওয়ানোর পর ৮ থেকে ১০ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবাসী উজ্জ্বল সন্ন্যাসীর বাড়ি থেকে ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকা সমমূল্যের স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও কসমেটিকস পণ্য লুট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় প্রবাসী উজ্জ্বল সন্ন্যাসীর স্ত্রী পূজা সরকার ২৯ মার্চ বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় অজ্ঞাতনামা চারজন দুস্কৃতির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

গত ২৮ মার্চ এই ডাকাতির ঘটনার পাঁচদিনের মধ্যে সম্পৃক্ত আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য আব্দুল কুদ্দুস ও মো. আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য মো. মিজান, সোহাগ ও মো. মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ি থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদির মধ্যে একটি বড় রামদা, একটি লোহার নাক চিরানী (তালা ও গ্রিল ভাঙার কাজে ব্যবহৃত), একটি সেলাই রেঞ্জ, একটি ধারালো চাকু, একটি প্লাস ও একটি টর্চ লাইট উদ্ধার করা হয়। অপর আসামিদের মধ্যে মো. মনির হোসেনের কাছ থেকে ৫ ভরি ৩ আনা ৫ রত্তি স্বর্ণালংকার ও লুণ্ঠিত স্বর্ণ বিক্রির নগদ তিন লাখ ৫৩ হাজার টাকা এবং মো. মিজানের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।

সিংগাইর থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত সর্বমোট পাঁচজন ডাকাতকে আদালতে সোপর্দ করা হয়ে। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত আব্দুল কুদ্দুস, মো. আরমান, মো. মিজান ও সোহাগের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন আছে। পলাতক ডাকাতদের গ্রেপ্তারে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

(ঢাকা টাইমস/০৪এপ্রিল/এসএ)