শেরপুরে সেনাসদস্য হত্যা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ১৫ বছর পর গ্রেপ্তার

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২০ | প্রকাশিত : ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০৯

শেরপুরের শ্রীবরদীতে সেনাসদস্য বটন কান্তি বড়ুয়া হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. বাবুল মিয়াকে (৫৫) প্রায় ১৫ বছর পর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

পারস্পরিক দ্বন্দ্বের জেরে ২০০৯ সালে সেনা সদস্য বটন কান্তি বড়ুয়াকে হত্যা করেন বাবুল মিয়া। এ ঘটনার পর থেকেই খুনি বাবুল মিয়া আত্মগোপনে চলে যান। দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত আসামি বাবুল মিয়া জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোস্তফা কামাল ছদ্মনাম ধারণ করে সবজি বিক্রি আসছিলেন। পরবর্তীতে ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর শেরপুরের বিজ্ঞ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আসামিদের অনুপস্থিতিতে দুই খুনি বাবুল মিয়া ও কবিরাজ হাবিবুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

র‌্যাব-১৪ দীর্ঘসময় ধরে নানাভাবে তথ্যানুসন্ধান করে পলাতক খুনি বাবুল মিয়াকে চিহ্নিত করে। এরপর তাকে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব-১৪ ব্যাটালিয়ন।

র‌্যাব জানায়, গত শুক্রবার রাতে ঢাকার উত্তরা থেকে র‌্যাব-১ উত্তরা, ঢাকা ও র‌্যাব-১৪ জামালপুর যৌথ অভিযান চালিয়ে বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার বাবুল মিয়া শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার খৈলকুড়ার আলী হোসেনের ছেলে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব আরও জানায়, চট্টগ্রাম জেলার কোতোয়ালি উপজেলার আনোয়ারার বাসিন্দা বটন কান্তি বড়ুয়া সেনাবাহিনীতে চাকরি করার সময় সপরিবারে ঢাকার মাটিকাটা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বসবাস করতেন। আসামি বাবুল মিয়া মাটিকাটা এলাকায় সবজির ব্যবসা করতেন। সেনাসদস্য বটন কান্তি বড়ুয়া বাবুল মিয়ার সবজির দোকানে সবজি কেনার সুবাদে তার সঙ্গে পরিচয় হয় ও সখ্য গড়ে ওঠে।

এক পর্যায়ে সেনাসদস্য বটন কান্তি বড়ুয়া তার ছেলেসন্তান না হওয়ার বিষয়ে বাবুল মিয়াকে জানান। পরে বটন কান্তিকে বাবুল জানান যে, তার পরিচিত শেরপুরে একজন ভালো কবিরাজ আছে। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য বটন কান্তি ও বাবুল মিয়া সেই কবিরাজ হাবিবুর রহমানের বাড়িতে যান।

এরপরে চিকিৎসার ওষুধের টাকা দেওয়া-নেওয়াকে কেন্দ্র করে ২০০৯ সালের ১০ এপ্রিল তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এর একপর্যায়ে বটন কান্তি বড়ুয়াকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে কবিরাজ হাবিবুর রহমানের ঘরের মেঝেতে পুঁতে রেখে ওপরে সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করে দেওয়া হয়।

ঘটনার পর থেকে বাবুল মিয়া ও কবিরাজ হাবিবুর রহমান তাদের পরিবারসহ পালিয়ে যায়। টানা চারদিন পর বটন কান্তি বড়ুয়ার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বছরের ১৪ এপ্রিল র‌্যাবের একটি গোয়েন্দা সংস্থা কবিরাজ হাবিবুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বটন কান্তি বড়ুয়ার মরদেহ উদ্ধার করে।

পরে বটন কান্তির ছোট ভাই ছোটন বড়ুয়া বাদী হয়ে ১৪ এপ্রিল শ্রীবরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারী অফিসার মামলা তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

র‌্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর আবরার ফয়সাল সাদী জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে শনিবার শ্রীবরদী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৭এপ্রিল/প্রতিনিধি/এসআইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফরিদপুরে রিকশা চালকদের মাঝে ছাতা-পানি বিতরণ জেলা প্রশাসনের

এক জমি পরিষ্কারের আগুনে পুড়ল আরও ২৫ বিঘার ভুট্টা

জানাজায় গিয়ে আইফোন হারালেন ধর্মমন্ত্রী

উপজেলা নির্বাচন: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে প্রতিপক্ষের কর্মীকে পিটিয়ে জখম করলেন চেয়ারম্যান

ইসলামপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন আ. লীগের সালাম

মাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা

পাথরঘাটায় সাংবাদিকদের নামে সাইবার মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন 

চুয়াডাঙ্গায় ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

তীব্র গরমে ধান কাটতে গিয়ে কৃষকের মৃত্যু

শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদলেন র‌্যাব কর্মকর্তা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :