ঈদের দুদিন আগেও সায়েদাবাদে নেই যাত্রীর চাপ

মেহেদী হাসান, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪১ | প্রকাশিত : ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৯

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের বাকি আর মাত্র দুদিন। দূর-দূরান্তে প্রিয়জনের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। কিন্তু সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে ঘরমুখো মানুষের তেমন ভিড় দেখা যায়নি।

সোমবার রাজধানীর সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে সরেজমিন ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

হানিফ বাসের চালক জজ মিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘দুদিন বাদেই ঈদ, আর সায়েদাবাদে প্যাসেঞ্জার নাই। গত ঈদের এই দিনে প্যাসেঞ্জারে ফুল হইয়া যাইত গাড়ি, আর এহন তার উল্টা।’

সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রাবাড়ীর মোড় পর্যন্ত সকাল থেকেই ঈদে ঘরমুখো মানুষকে নিজ পরিবারের সদস্যদের ব্যাগ, মালামাল নিয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। তবে এর সংখ্যা খুবই কম।

যাত্রী আরিফুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ঈদ এলেই বাস ভাড়া বাড়াইয়া ফেলে। দেখেন গত পরশু দিনও আমি শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস বাসে করে শরীয়তপুর গিয়েছি জনপ্রতি মাত্র ৩০০ টাকা ভাড়ায়। আর আজ যাওয়ার সময় জনপ্রতি ভাড়া নিচ্ছে ৪০০ টাকা করে। দুই দিনের ব্যবধানে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে জনপ্রতি ১০০ টাকা। এসব দেখার কি কেউ নেই।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসমালিকদের একজনের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা টাইমসের। তিনি বলেন, দু-একজন প্রভাবশালী বাসমালিক অসৎ উপায়ে বাসভাড়া বাড়িয়েছে।

বিএমএফ বাসের যাত্রী আরিফুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ঈদের বাহানা দিয়ে বরিশালে যাওয়ার জন্য বাসভাড়া জনপ্রতি ৫৫০ টাকার নিচে নিচ্ছেই না। যা আগে ছিল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ।

সিডিএম পরিবহনের যাত্রী আছিয়া বেগম ঢাকা টাইমসকে বলেন, আগে ভাড়া ৪০০ টাকা থাকলেও বাসে জনপ্রতি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা। যা আমাদের জন্য দুঃখজনক।

এশিয়া লাইন পরিবহনের চালক সাইফুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ঈদ হলেও যাত্রী খুবই কম। সকাল থেকে আইসা বইসা রইছি। সাড়ে ১০টা বাইজা গেছে তবুও গাড়ি ভরে নাই।

জোনাকি পরিবহনের হেলপার বিল্লাল ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমার হাতে ৫০০ টাকাও নাই। বাড়ি যাব কীভাবে। বেতন পাই নাই এখনো। বাড়িতে সবাই আমার আশায় আছে।

সায়েদাবাদে যাত্রী খুবই কম জানিয়ে সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাসটার্মিনাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, সায়েদাবাদে যাত্রী খুবই কম। ভোরবেলা সেহরির পরে কিছু যাত্রী হয়েছিল। এরপর যাত্রী নেই। এবার ছুটি লম্বা। মানুষ হয়তো আস্তে-ধীরে যাচ্ছে। অফিস আদালত তো এখনো খোলা। আজ বিকাল বা কাল থেকে যাত্রী হবে বলে আশা করছি। অন্য ঈদগুলোতে এসময় এমন অবস্থা হয় না। ভাড়া বাড়ানোর অভিযোগ সত্য নয় দাবি করেন তিনি। ডেকে ডেকে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে সেখানে ভাড়া বাড়ে কীভাবে? যাত্রীর চাপ হলে সেখানে না হয় ভাড়া বাড়ার বিষয়টি আসে। বরিশালে রুটের গোল্ডেন লাইনের একটা গাড়িতে ভাড়া বেশি নেওয়ায় তাদের কাউন্টার আমরা বন্ধ করে দিয়েছি।

(ঢাকাটাইমস/৮এপ্রিল/এমএইচ/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :