শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে রংপুরকে ষষ্ঠ জয় এনে দিলেন সোহান

চলতি বিপিএল শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ উপভোগ করলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। যেখানে শেষ ওভারে রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বরিশালকে তিন উইকেটে হারিয়ে এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচে খেলে ছয়টিতেই জয় তুলে নিয়েছে রংপুর।
আজ সিলেটে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রংপুরের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান সংগ্রহ করেছে বরিশাল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জবাবে খেলতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ইনিংসের শেষ বলে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় রংপুর।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য রংপুর রাইডার্সের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। কাইল মেয়ার্সের করা ২০তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে রাইডার্সদের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন নুরুল হাসান সোহান। পরের চার বলে আরো চার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সমীকরণ সহজ করেন তিনি। তাতে সমীকরণ দাঁড়ায় ১ বলে ২ রানে। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন রংপুরের অধিনায়ক।
রংপুরের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন তাওফিক খান ও অ্যালেক্স হেলস। তবে আজ বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি অ্যালেক্স হেলস। ৩ বলে মাত্র ১ রান করে তানভীর ইসলামের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় রংপুর।
৪ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন তাওফিক খান ও সাইফ হাসান। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে রংপুর। তবে বেশিদূর এগোনোর আগেই এই জুটিকে থামান ফাহিম আশরাফ। ফাহিম আশরাফের বলে রিশাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ১৯ বলে ২২ রান করা সাইফ হাসান। তার বিদায়ে ভাঙে ৩৭ রানের জুটি।
সাইফ হাসানের বিদায়ের পর জুটি গড়েন ইফতিখার আহমেদ ও তাওফিক খান। তবে আজ তারা ব্যর্থ হন নিজেদের জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে। দলীয় ৬৬ রানে রিশাদ হোসেনের শিকার হয়ে ২৮ বলে ৩৮ রান করে তাওফিক খান সাজঘরে ফিরে গেলে ২৫ রানেই ভাঙে এই জুটি। যার ফলে ৬৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর।
৬৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন ইফতিখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে রংপুর।
তবে দলীয় ১৫৭ রানে ইফতিখার আহমেদের বিদায়ে ৯১ রানে ভেঙে যায় এই জুটি। ৩৬ বলে ৪৮ রান করে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ইফতিখারভ মাত্র ২ রানের জন্য অর্ধশতক মিস করেন তিনি।
ইফতিখার আহমেদের পর সাজঘরে ফিরে যান খুশদিল শাহও। মাত্র ২ রানের জন্য তিনিও আজ মিস করেন অর্ধশতক। ২৪ বলে ৪৮ রান করে জাহানদাদ খানের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ১৭১ রানে ৫ উইকেট হারায় রংপুর।
খুশদিল শাহ এর বিদায়ের পর একই ওভারে সাজঘরে ফিরে যান শেখ মেহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এই দুই ব্যাটারের বিদায়ে ১৭২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে উত্তরের দলটি।
যার ফলে হারের শঙ্কা আরও বেড়ে গিয়েছিল রংপুরের। তবে গল্পের তখনও ঢেড় বাকি। রংপুরের এমন বিপর্যয়ের দিনে ত্রাণকর্তা হিসেবে সামনে এলেন রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য রংপুর রাইডার্সের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। কাইল মেয়ার্সের করা ২০তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে রাইডার্সদের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন নুরুল হাসান সোহান। পরের চার বলে আরো চার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সমীকরণ সহজ করেন তিনি। তাতে সমীকরণ দাঁড়ায় ১ বলে ২ রানে। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন রংপুরের অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত ৭ বলে অপরাজিত ৩২ রান করে দলের নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন তিনি।
(ঢাকাটাইমস/০৯ জানুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন