মানিকগঞ্জে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের পক্ষে জামিন শুনানি, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

মানিকগঞ্জে আওয়ামীপন্থি দুই আইনজীবীর পক্ষে জামিন শুনানি করায় জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মেজবাউল হকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার ব্যানারে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে আদালত চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে দৌলতপুর উপজেলায় বিএনপি নেতার গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বর দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহিন আলম মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয়সহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।

ওই মামলায় মঙ্গলবার মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আজিজুল হক, ধামশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইদ্রিস আলী, বর্তমান আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন, কলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, জিয়নপুর আওয়ামী লীগের নেতা বেলায়েত হোসেন এবং বাঘুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আখিনুর রহমান।

উভয়পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত তিনজনকে জামিন মঞ্জুর করেন। তারা হলেন— এ.কে.এম আজিজুল হক, অ্যাডভোকেট ইদ্রিস আলী ও অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন। অন্য তিন আসামিকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক লিয়াকত আলী মোল্লা।

জামিন শুনানির সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অ্যাডভোকেট মেজবাউল হক বলেন, আমি মানবিক কারণে তাদের জামিন শুনানি করেছি। বিএনপির নেতা হিসেবে নয়, সহকর্মী হিসেবে অসুস্থ দুইজনের পক্ষে দাঁড়িয়েছি। বাকি চারজনের জন্য আমি আদালতে দাঁড়াইনি। এই মামলা দৌলতপুর ছাত্রদল সভাপতির বাড়ি ভাঙচুর ও কুপিয়ে আহত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পতিত সরকারের সময় করা হয়েছে। আমি আগেও বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীর পক্ষে বিনামূল্যে আইনি লড়াই করেছি। বর্তমানে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছি। আমার বিরোধী দলের অভ্যন্তরীণ কিছু লোকই এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।

জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জামিলুর রশিদ বলেন, একজন আইনজীবীর পক্ষে অন্য একজন আইনজীবী দাঁড়ানো স্বাভাবিক। তবে রাজনৈতিক মামলার ক্ষেত্রে একজন আইনজীবীর চিন্তা করা উচিত যে, তিনি কার পক্ষে দাঁড়াচ্ছেন বা কার পক্ষে দাঁড়াবেন না।

এ ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/এমআর)